পুলিশ জানায়, সকালে ৯৯৯– এ ফোন পেয়ে সদর থানা পুলিশের একটি দল সদর ভূমি অফিসের পেছনের ওই ভবনে যায়। সেখানে দরজা বন্ধ অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহটি দেখতে পায় তারা। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত আবু হানিফ কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুমার ডোগা এলাকার নূর আহাম্মেদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন আদম ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিদেশে পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছিলেন আবু হানিফ। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও রয়েছে। ২০২৩ সালে হানিফের সঙ্গে বৃষ্টি আক্তার নামে এক নারীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। আজ সকালে তার সাবেক স্ত্রী বৃষ্টির কিনে দেয়া মোটরসাইকেল বিক্রির ৮৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে যান হানিফ।
ওই সময় অন্যান্য পাওনাদাররাও তার উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে হানিফ বৃষ্টির ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি ও তার বর্তমান স্বামী জাহিদ হাসান দরজায় কড়া নাড়লেও কোনো সাড়া মেলেনি। পরে পাশের ভবনের জানালার ফাঁক দিয়ে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন হানিফ। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, ঘিওর উপজেলার দেওভোগ গ্রামে সোনামিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে নিজ বাড়ির পাশে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘিওর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার দীঘি ইউনিয়নের মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে প্রকৃতির।
প্রত্যেক ঘটনার পর মরদেহগুলো সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পৃথক তিনটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আজ পৃথক জায়গা থেকে দুইজন ব্যক্তির মরদের উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার দীঘি ইউনিয়নের মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার পরিচয় সনাক্তের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘অপর দিকে সদর ভূমি অফিসের পেছনের একটি ভবনের তিন তালা থেকে আবু হানিফ নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিন পাওনাদারদের চাপে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুইটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কোহিনূর মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিহত সোনা মিয়া তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।’





