নিরাপত্তার কারণে সকাল থেকে রাঙামাটি থেকে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের বাস সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা। বাসের চালক, সহকারী ও সংশ্লিষ্টরা অলস সময় পার করছেন।
তবে রাঙামাটি থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী বাস যথা সময়ে ছেড়ে গেছে। এছাড়া রাঙামাটি জেলা সদরের সাথে পানি পথে যুক্ত ৬টি উপজেলার নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিক রয়েছে রাঙামাটি শহরের একমাত্র গণপরিবহন সিএনজি অটোরিকশা। এতে স্বাভাবিক রয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা।
আজ (সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, রাঙামাটি দোয়েল চত্বর বাস কাউন্টার থেকে বান্দরবান-বাঙ্গালহালিয়া, খাগড়াছড়ি ও নানিয়ারচরগামী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কাউন্টারের কর্মকর্তা মো. ইসমাইল বলেন, ‘বান্দরবানগামী দৈনিক ২টি বাস ছাড়ার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৭টা ও দুপুর দুইটার বাস ছেড়ে যায়নি। খাগড়াছড়িগামী দৈনিক ৭টি বাস ছাড়ার কথা থাকলেও সকল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া নানিয়ারচরগামী একমাত্র সকাল ৬টা ৫০ এর বাসটি ছেড়ে যায়নি।’
রাঙামাটি রিজার্ভ বাজার লঞ্চ ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, রাঙামাটি থেকে লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, বরকল, বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ির উপজেলার যাত্রীবাহী লঞ্চ ও মালবাহী নৌযানগুলো যথা সময়ে ছেড়ে গেছে। একইসঙ্গে এসব উপজেলা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ ও মালবাহী নৌযান নির্বিঘ্নে রাঙামাটিতে এসে পৌঁছেছে।
সকাল থেকেই জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। শহর ঘুরে দেখা যায়, এসব পয়েন্টগুলোতে সেনা সদস্যরা হ্যান্ডমাইক দিয়ে রাঙামাটিবাসীকে শান্ত থাকতে এবং ধৈর্য্য ধারণ করতে অনুরোধ জানান। একইসঙ্গে গুজবে কান না দিতে ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ জানান, এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনও পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক নজরে রাখছেন। এর আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গতকাল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী ও কর্মজীবী সংগঠনের সাথে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন পৃথকভাবে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা করে।





