জমে উঠতে শুরু করেছে দুর্গাপূজার আয়োজন। দেবীপক্ষ শুরু আগেই ধুম পড়ে পূজার সামগ্রী কেনার। তবে, এবারের চিত্র খানিকটা ভিন্ন। পূজার প্রায় সব উপকরণ ও দেবীর পোশাক-আশাকের দাম বেড়েছে আকাশছোঁয়া। এতে বাড়তি ব্যয়ের চিন্তা ক্রেতাদের। বিক্রি কমে যাওয়ায় চিন্তিত ব্যবসায়ীরাও।
পূজার বিভিন্ন উপকরণ- কাসার বাসন, বাদ্যযন্ত্র, প্রতিমার পোশাকসহ সব উপকরণের দাম প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় বিক্রি কমেছে আশঙ্কাজনক হারে ।
বিক্রেতারা জানান, যে জিনিস আগে পাঁচশো থেকে ছয়শো টাকায় পাওয়া যেত সে জিনিস এখন সাতশো থেকে আটশো টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তামা, পিতলসহ সব ধরনের জিনিসের দাম এবার বেশি।
শুধু প্রতিমার সাজসজ্জা নয়, পূজাকে কেন্দ্র করে নারীদের প্রধান আকর্ষণ শাড়ি ও অলংকারের বাজারেও দরের আগুন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় কালেকশন কম আসায় সরবরাহ ও চাহিদার ফারাক বেড়েছে। এতে দামও বেড়েছে দেড় থেকে দুই গুণ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:
ক্রেতারা জানান, পূজার বন্য তারা কেনাকাটা করছেন তবে আগের বছরের তুলনায় এ বছর গুনতে হচ্ছে তাদের অতিরিক্ত টাকা। পাশাপাশি ভারতের কালেকশন এবছর কম এসেছে, দেশি পণ্যই কিনছেন তারা।
পূজা কমিটির নেতাদের অভিযোগ—প্রতিমা নির্মাণ থেকে আলোকসজ্জা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যয় বেড়েছে। বাজেট ৫০ শতাংশ বাড়িয়েও খরচ মেটাতে হিমশিম অবস্থা।
সিলেট কাজলশাহ সার্বজনীন পূজা কমিটি উপদেষ্টা প্রফেসর অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, ‘এ বছর ১২ লাখ টাকা বাজেট ছিল। আমাদের পে করা হয়েছে। কত লাগবে জানি না। আমাদের হিমশিম অবস্থা।’
সিলেট হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ঐক্য ফ্রন্ট সদস্য সচিব রাজীব কুমার দে রাজু বলেন, ‘প্রতিটি জিনিসের দাম ডাবল হয়ে গেছে। গত বছর যে দামে কিনেছি এ বছর তা কিনতে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে।’
বাজারে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, প্রশাসনের নজরদারির অভাব আর ভারতীয় পণ্যের সংকট—সব মিলিয়ে পূজার বাজারে খানিকটা অস্থিরতা। এ অবস্থায় প্রশাসনের বাজার তদারকির দাবি ক্রেতাদের।





