এসময় বক্তব্য রাখেন নিহতের মা পারভীন বেগম, বোন সিনহা আক্তার, খালা বিউটি আক্তার, সাগরের সহপাঠী ফাহাদ ও খাইরুলসহ অন্যরা।
বক্তারা বলেন, এলাকার ৯০ জন মিলে নৌকাভ্রমণে গিয়ে এদের মধ্যে সাগর নিখোঁজ হয়। তারা গিয়েছিল বাসাইল ও সখীপুর উপজেলার সিমান্তবর্তী বংশাই নদীর পাথরঘাটা এলাকায়। কিন্তু সাগরের মরদেহ পাওয়া গেছে দেলদুয়ার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারোপাখিয়া গ্রামের লৌহজং নদীতে। সাগরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর তার মরদেহ নদীতে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।
নৌকাভ্রমণে যাওয়া লোকজনের মধ্যে থেকেই কেউ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান তারা। তারা বলেন, এদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য বেরিয়ে আসবে। আমরা সাগর হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও তাদের শাস্তি দাবি করছি।
আরও পড়ুন:
নিহত সাগর বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের ভৈরপাড়া গ্রামের প্রবাসী বাদশা মিয়ার ছেলে। সে করটিয়া এইচএম ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট নৌকাভ্রমণে গিয়ে সাগর নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ১৭দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর নানার বাড়ি দেলদুয়ার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারোপাখিয়া গ্রামের লৌহজং নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় দেলদুয়ার থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ৫ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে, সাগরের নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল বাসাইল থানায়।
