অবরোধের কারণে মল্লিকা কমিউটার ট্রেনটি ৪০ মিনিট লেটে ১০টা ৪০ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। পরে বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
বক্তারা বলেন, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী চারটি আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু, পদ্মা, সিল্ক সিটি ও মধুমতী এক্সপ্রেস চলাচল করে। অথচ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এ ট্রেনগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত বর্ধিত করা হচ্ছে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী একমাত্র ট্রেন হিসেবে চলাচল করে বনলতা এক্সপ্রেস। রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও আঞ্চলিক বৈষম্য মনোভাবের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী রেল যোগাযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে আশ্বাসের ভিত্তিতে অবরোধকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করলে প্রায় ৪০ মিনিট পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার ওবায়দুল্লাহ।
অবরোধ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সুজনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জুয়েল, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি খায়রুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুখলেসুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এবং সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলসহ অন্যরা।