নিহত মিয়াজুল নাটাই গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ছলিমের বাড়ির শহিদ মিয়ার ছেলে চান্দের বাড়িতে বসে গত সোমবার (১২ মে) রাতে কয়েকজনকে নিয়ে মাদক সেবন করছিলেন।
এ সময় চান্দের বাড়ির লোকজন তাতে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে সোমবার রাতেই দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরদিন মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে আবারও চান্দের বাড়ি ও ছলিম বাড়ির লোকজন দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২টি ঘরবাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ১০ জন।
এরই জের ধরে বুধবার বিকেলে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই গোষ্ঠীর লোকজন। সংঘর্ষ চলাকালে ১০ থেকে ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এ সংঘর্ষে চান্দের বাড়ির মিয়াজুল নামে একজন গুরুতর আহত হলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, দীর্ঘদিনের গোষ্ঠিগত দ্বন্দ্বের জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।





