সকাল থেকেই শহরের শিক্ষা চত্বর মোড়ে জড়ো হতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও অন্যান্য পেশাজীবীদের সমন্বয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি নরসিংদী প্রেসক্লাব এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের জেলখানার মোড়ে গিয়ে অবস্থান নেয়।
পরে, বেলা সোয়া ১১টা থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। এ সময় ইসরাইলি পণ্য বর্জন, গাজায় হামলার বিচার দাবিসহ অন্যান্য স্লোগানে মুখরিত হয় বিক্ষোভ স্থল। গাজাকে রক্ষার পাশাপাশি দাবি ওঠে ইসরাইলের বিচারের। পরে, দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মহাসড়ক ছেড়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।
আরিফ পাঠান নামে স্থানীয় একজন শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘যে হামলা হয়েছে গাজায় তা নৃশংস। পৃথিবীর মানচিত্র থেকে একটি ভূখণ্ড বা জনপদ মুছে যাবে তা আমরা চাই না।‘
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সাবরিনা সরকার বলেন, ‘আমরা পৃথিবীতে শান্তি চাই। কোনো প্রকার নৃশংসতা চাই না। গাজায় হামলার সর্বোচ্চ বিচার চাই।’
জুনায়েদ ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মুসলমানদের প্রতি হিংসা কেন? আমাদের পবিত্র স্থান ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। মানুষ মেরে ফেলা হয়েছে, ধোঁয়ার সাথে মানুষ উড়তে দেখা গেছে। আমরা কোনোভাবেই এসব মানতে পারছি না।’
নরসিংদী পৌর শহর ছাড়াও মাধবদী, রায়পুরাসহ জেলার সবগুলো উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।





