বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসামি আসলাম সানী নির্দেশিত ওই সময়ের মধ্যে হাজির না হলে তার অনুপস্থিতিতে বিচার শেষ হবে ।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, এএইচ আসলাম সানীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় ২০১০ সালের গ্যাস আইনের ১০(১) (গ)/১২ (১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আইনি প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত তিনি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। এর পরেও তার আদালতে হাজির হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড, ১৮৯৮ এর ৩৩৯-বি (১) ধারায় আদালত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এএইচ আসলাম সানী বিকেএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি নরসিংদী জেলার বোলাবো থানার চর উজিলাব পূর্বপাড়ার হাজী আরব আলীর পুত্র।
আরও পড়ুন:
আসলাম সানীর মালিকানাধীন অবন্তী কালার টেক্স নামের একটি রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে আধুনিক যন্ত্র (বুস্টার) ব্যবহার করে তিতাসের গ্যাস চুরি করে আসছিলেন । চলতি বছরের ১০ মার্চ তিতাসের একটি টিম অভিযান চালিয়ে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে গ্যাস লাইন সীলগালা করে দেয়া হয়। পরে এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস আঞ্চলিক লিটিগেশন ও পিআর শাখার ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান পাঠান বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বিকেএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি ব্যবসায়ী আসলাম সানী তার প্রতিষ্ঠানের ১০ কোটি ১২ লাখ টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তিনি বকেয়া পরিশোধ না করে উল্টো বুস্টার ব্যবহার করে গ্যাস চুরি করে আসছিলেন। গ্যাস চুরির কারণে সরকার পাঁচ কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়।





