আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষতি করে এমন কোনো কর্মকাণ্ডে ছাড় নয়। চোরাগুপ্তা হামলা করে কেউ যেন পালাতে না পারে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ইসির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বৈঠক। বৈঠকে তফসিলের পর সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও দিক নির্দেশনা নিয়ে কথা হয়েছে। প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আশ্বস্ত করেছে পুলিশ থেকে। এর বাইরেও কেউ চাইলে নিরাপত্তা দেয়া হবে।’
সভার শুরুতে শহিদ ওসমান হাদি, শান্তি মিশনে ৬ শহীদসহ কয়েকজনের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয় বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, ‘ওসমান হাদির মৃত্যুতে আগাম বার্তাসহ কেন সেটি রোধ করা গেল না সে বিষয়ে আইনের মধ্য থেকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেন এমন পরিস্থিতি আর না হয়।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, গোলাবারুদ উদ্ধার দল ও প্রার্থীর মাঝে আস্থার পরিবেশ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে সেগুলো করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর ১৩ তারিখ থেকেই অভিযান চলছে। প্রতিদিন সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। সবমিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয়ের কাজ চলছে। অতিদ্রুত যৌথ অভিযান শুরু হবে।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘দল ও প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। কিছু ঘটনা নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করছে। তবে মূল দলগুলোর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় নি। ওসমান হাদির ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত কাজ তরান্বিত করতে নির্দেশনা দিয়েছি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে যেকোনো ঘটনাই নির্বাচনের অংশের মধ্য পড়ে। ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে নির্বাচনে উৎসবের আমেজে ব্যাঘাত ঘটলেও ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে না। শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে যেতে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার মতো এমন কোনো ঘটনা আর যেন না হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সে বিষয়ে ইসি নির্দেশনা দিয়েছে।’
এদিকে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে সুষ্ঠু সুন্দর ও অংশগ্রহণ নির্বাচনে জন্য ইসিকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানরা।





