সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর। ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে যাচাই-বাছাই।’
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১১ জানুয়ারি এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ শেষে ২২ জানুয়ারি থেকে প্রচার প্রচারণা শুরু করবেন প্রার্থীরা। প্রচার শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টায়। ১২ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ভাষণে সিইসি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করাই এ কমিশনের প্রধান লক্ষ্য। এরই মধ্যে নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে, প্রায় অকার্যকর পোস্টাল ভোটকে কার্যকর করা হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বক্তব্যে জানান, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। যেখানে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন এবং নারী ভোটার ছয় কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার। এছাড়া এক হাজার ২৩৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
এর আগে গতকাল (বুধবার, ১১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে সিইসি নির্বাচনের প্রস্তুতি উপস্থাপন করে তফসিল ঘোষণার অনুমতি চান। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ইসির সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, বৈঠকে আউট অফ কান্ট্রি ভোটিং ও ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট ব্যবস্থা নিয়ে রাষ্ট্রপতি বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন। স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় পরিচালিত প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন:
এবারের নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটাররাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত তিন লাখের বেশি প্রবাসী ভোটার ভোট দেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার ১৬ মাসের মাথায় আজ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলো ইসি।





