হংকংয়ের উত্তরাঞ্চলের তাইপো এলাকার আবাসিক ভবনের আগুন নিভে গেলেও মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। গেল পাঁচদিনে প্রাণহানি ছাড়িয়েছে দেড়শো। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৩০ জন।
দুই শতাধিক বাসিন্দাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ৩৪টি বিড়াল, ১২টি কুকুর এবং সাতটি কচ্ছপসহ ৬০টিরও বেশি পোষা প্রাণী মারা গেছে বলে জানিয়েছে সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েল্টি টু অ্যানিমেলস। পুড়ে যাওয়া দু’টি টাওয়ার ছাড়া বাকি অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে তদন্তকারীরা।
গেল কয়েক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে ওয়াং ফুক কোর্ট হাউজিং কমপ্লেক্সের বাসিন্দারা। মাথা গোজার ঠাঁই নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে ফিরছেন অনেকে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা ২০ বছর আগে অ্যাপার্টমেন্টটি কিনেছিলাম, আমাদের সবকিছু এখানেই ছিল। যা পুড়ে গেছে। এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’
আরেকজন বলেন, ‘আমরা গেল কয়েকদিন ধরে মৃতদেহের ছবি পরীক্ষা করছি, কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি।আমরা নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করছি, তবে আমরা আশা করি শিগগিরই তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে। অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু মেনে নেয়া সত্যিই কঠিন।’
এদিকে আবাসিক ভবনে আগুনের ঘটনা তদন্তে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর ভবন নির্মাণের সময় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে আরও ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে বিচার বিভাগের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভবনের বাসিন্দাদের দাবি, কঠোরভাবে নিয়মকানুন মেনে ভবন নির্মাণ এবং পরবর্তীতে সঠিক পরিচালনা ব্যবস্থা নিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি এড়ানো সম্ভব হতো। এই মুহূর্তে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবিও তাদের।





