আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়ে বছর শেষ করলো বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচের মত পুরো বছরজুড়েই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সাফল্য পেয়েছে টাইগাররা। নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার বছরে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ডটাও গড়া হয়ে গেছে। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এমন রেকর্ড হয়তো কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস যোগাবে।
তবে হুট করে এ সংস্করণে এমন বদলে যাওয়ার পেছনে রহস্য কী?—এমন প্রশ্নে দেশের ক্রিকেটের সাবেক ওপেনার তামিম ইকবাল কৃতিত্বটা দিলেন তরুণ দুই ওপেনারকে।
তামিম ইকবাল বলেন, ‘তাদের কাছে খুব ভালো দুইটা ওপেনার আছে টি-টোয়েন্টির জন্য। তানজিদ তামিম আর পারভেজ ইমনের যেকোনো গেম চেঞ্জ করে দেয়ার অ্যাবিলিটি আছে, এটা আমি বিশ্বাস করি। তবে হ্যাঁ, তাদের কনসিস্ট্যান্ট হতে হবে।’
এদিকে ক্ষুদ্র সংস্করণে সাফল্য পেলেও বছরটিতে নিজেদের সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাটের ছন্দটাকে যেন হারিয়ে খুঁজছে বাংলাদেশ, অবস্থা এমন, যেন এ ফরম্যাটে জিততেই ভুলে গেছে দল।
আরও পড়ুন:
একসময় যে সংস্করণে বিশ্বের যেকোনো দলের জন্য হুমকি ছিল বাংলাদেশ, সেখানেই এ বছর ১১ ম্যাচে জয় এসেছে মাত্র ৩টিতে। একদিনের ক্রিকেটে এমন পিছিয়ে পড়ার ব্যাপারে নিজের দর্শনও তুলে ধরলেন সাবেক এ অধিনায়ক।
তামিম বলেন, ‘আমি মনে করছি, ওয়ানডেতে একটা টেম্পারমেন্ট থাকতে হয়। আমাদের বুঝতে হবে, ৩০ ওভার কীভাবে খেলতে হবে। সেই ৩০ ওভারে আপনি কোনোভাবেই একরকম গতিতে এগোতে পারবেন না। আপনি এগোবেন, নামবেন আবার এগোবেন— সেটা ম্যানেজ করে খেলতে হবে। সেখানে ঘাটতি আছে বলে আমার মনে হচ্ছে।’
ওয়ানডের মতই বছর কয়েক আগেও ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের যে দাপট ছিল, সেটি অনেকটাই ম্রিয়মান হয়ে আসছে। তামিম ইকবাল মনে করেন, সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূণ্যতা তৈরি হয়েছে; আর সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বিকল্প তৈরি না হওয়ায় ভুগছে দল।
তিনি বলেন, ‘দলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গার খেলোয়াড় এখন দলে নেই। তো এ জায়গা থেকে ওভারকাম করতে একটু সময় লাগবে। ইয়াং যারা এখন দলে আছে, তাদের অনেক প্রতিভা আছে, আমি মনে করি। শূন্যতা যেন তৈরি না হয়, সেটার জন্য পরিকল্পনা করে বোর্ড। আগের ক্রিকেট বোর্ড যদি আরেকটু ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতো, তাহলে এতটা সংকট হতো না।’




