রুশ ট্যাংকারের দিকে ধেয়ে আসছে ইউক্রেনের ড্রোন। চোখের নিমিষেই বিস্ফোরণ, আগুন আর কালোধোঁয়ায় ঢেকে গেল আকাশ।
কৃষ্ণসাগরে ভাসতে থাকা তেলবাহী দু'টি রুশ ট্যাংকারের হামলার দৃশ্য এটি। শুক্রবার তুরস্ক উপকূলের রাশিয়ার ছায়া নৌবহরে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার 'কায়রোস' ও 'বিরাটে' ড্রোন হামলা করে ইউক্রেন। হামলার একদিন পর দায় স্বীকার করে ভিডিও প্রকাশ করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা।
আরও পড়ুন:
২০২২-এ ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর একচেটিয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমারা। নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে জ্বালানি তেল পরিবহনে এমন শত শত নৌযান ব্যবহার করে মস্কো। যা ছায়া নৌবহর নামে পরিচিত।
হামলার পর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় এমটি কায়রোসকে। এসময় ঐ ট্যাংকার জাহাজে থাকা বেশ কয়েকজন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে তুরস্কের কোস্ট গার্ড। এদের মধ্যে ছিলেন ৪ বাংলাদেশি নাবিক। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। আরও জানা গেছে, তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু করছে তুরস্ক।
উদ্ধার হওয়ার বাকি নাবিকদের অধিকাংশই চীনের। এছাড়াও সেখানে আছেন মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়ার নাবিক।
শুক্রবারের ঐ হামলার পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও এর আশপাশে দফায় দফায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ও বহু হতাহতের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে পড়েছেন কিয়েভবাসী।
এমন একটা সময়ে কিয়েভের ওপর চড়াও হলো মস্কো যখন ওয়াশিংটনে পৌঁছেছে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দল। যুদ্ধের এই পর্যায়ে এসে রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে ফেরাতে গঠনমূলক সমাধানের জন্য মরিয়া কিয়েভ। এরপর আগামী সপ্তাহে পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে মস্কো যাবে ওয়াশিংটনের প্রতিনিধিরা।





