ইসি সচিব জানান, আসন্ন নির্বাচনে লিড মিনিস্ট্রি হিসেবে কাজ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্বাচন কমিশন মনিটরিং সেলের মাধ্যমে সব ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকি করবে। এছাড়া সাইবার সিকিউরিটি সেল থাকবে। যোগাযোগ বা কমিউনিকেশন স্ট্রাটেজি দুই ধরনের হবে—পরিস্থিতি অনুযায়ী তা সমন্বয় করা হবে।
সচিব বলেন, ‘বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠপর্যায়ে কোনো নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জের কথা জানায়নি। সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের। সে অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকা চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার বহাল থাকবে।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও জানান, যেকোনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময় অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে। একাধিক ব্যাকআপ পরিকল্পনা থাকবে। একটি কার্যকর না হলে পরবর্তী পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে। বৈঠকে বডি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম রুখতে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ভোটের সরঞ্জাম কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছানো থেকে শুরু করে ভোট গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতে জোর দেয়া হবে। ভোটের সময় স্থানীয় কোনো নেতাকর্মীর কাছ থেকে কোনো ধরনের আতিথিয়তা গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। আচরণবিধি শুরু থেকেই কঠোরভাবে বাস্তবায়নে ইসির পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ভোটের আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট থাকবে, পরিস্থিতি অনুযায়ী তা বজায় থাকবে। কেন্দ্রভিত্তিক চেকপোস্টও হতে পারে। এলাকা অনুযায়ী ৪-৫ / ৭-৮ / ৯-১০ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করা হতে পারে।
সব মিলিয়ে, নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিস্তৃত ও বহুমাত্রিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট বাহিনী।





