কাতারের দোহায় মঞ্চস্থ হলো রুদ্ধশ্বাস এক নাটক। আর সেই নাটকের শেষ অঙ্কে নায়ক হয়ে উঠল পর্তুগাল। আর সবুজ গালিচায় স্নায়ুচাপের ঝড়ে লন্ডভন্ড ব্রাজিলের শিরোপা পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন।
১৯৮৭ সাল থেকে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলে যাত্রা শুরু হলেও কোনোবারই প্রত্যাশা অনুযায়ী অর্জনের সমীকরণটা মেলাতে পারেনি পর্তুগাল। তিন যুগেরও বেশি সময় পার হলেও কখনও মূল পর্বে ওঠার আগেই লড়াই শেষ কখনও আবার সেমি থেকে ফিরতে হয়েছে পর্তুগালকে।
একটু একটু করে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিজেদের মধ্যে লালন করা পর্তুগালকে আর আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী ব্রাজিলের মধ্যে তুমুল লড়াই।
আরও পড়ুন:
ব্রাজিলের গতি আর কৌশলে বেশ কয়েকবার পর্তুগালের বক্সে হুমকি তৈরি করলেও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে গোল করতে পারেনি সেলেসাওরা। অন্যদিকে, জোড়ালো আক্রমণও ব্রাজিলের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে ব্যর্থ হয় পর্তুগাল। দুই দলের টানটান লড়াই ৯০ মিনিটেও নির্ধারণ করতে পারেনি কে সেরা, কে-ই বা পাবে ফাইনালের টিকিট।
শেষ পর্যন্ত ভাগ্যনির্ধারণী টাইব্রেকারের হৃদয় কাঁপানো মুহূর্তে ৬-৫ গোলের জয়ে ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়লো পর্তুগিজ যুবারা। এর ফলে স্বপ্নভঙ্গ হয় তারুণ্যে ভর করা সেলেসাওদের।
এদিকে অন্য সেমিফাইনালে ইতালিকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পতুর্গালের প্রতিপক্ষ অস্ট্রিয়া।





