গাজা যুদ্ধের আগে তীর থেকে টনের পর টন মাছ ধরেছে সেখানকার জেলারা। সেই মাছ বিক্রি করে সচ্ছলভাবেই কেটে যেতো তাদের জীবন।
তবে গত তিন বছরে চিত্র পুরোপুরি উল্টে গেছে। ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞার কারণে সমুদ্র উপকূলে নৌকা নিয়ে খুব একটা নামতে পারেন না গাজার জেলেরা। বিভিন্ন সময় বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের।
এক সময় যেখানে ৬ হাজারের মতো জেলে মাছ ধরতো এই তীরে এখন এর সংখ্যা নেমে এসেছে আটশোর মতো। জাল নিয়ে যেতে না পারায় কমেছে মাছের পরিমাণ। এছাড়াও মিশর ও ইসরাইল থেকেও আমদানি বন্ধ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কমেছে সরবারহ। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। প্রতি কেজি মাছ পাওয়া যাচ্ছে প্রায় একশো শেকেল বা ৪ হাজার টাকায়।
গাজার জেলেদের একজন বলেন, ‘মাছ ধরার কোনো জায়গা নেই। এমনকি ছোট নৌকা নিয়েও সমুদ্রে নামতে পারি না।’
আরও পড়ুন:
অন্য আরেকজন জেলে বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় দেড়শো থেকে দুইশো টন মাছ জালে আটকাতো। এছাড়াও মিশর ও ইসরাইল থেকেও প্রচুর মাছ আমদানি করা হতো। এতে মাছের দরও তুলনামূলক কম ছিলো। তবে এখন এর দর অনেক বেশি।’
জালে মাছ নেই, পকেটে নেই টাকা। যুদ্ধময় গাজায় জীবনের কষাঘাতে ক্লান্ত জেলেরা। পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দেয়ার মতো ন্যূনতম উপার্জন না থাকায় হতাশ উপত্যকার কৃষকরা। সেই সঙ্গে দর বেশি হওয়ায় পরিবারের জন্য মাছ কেনাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে গাজাবাসীর জন্য।
গাজার স্থানীয়দের একজন বলেন, ‘ছেলেটা অসুস্থ। তার পুষ্টিকর খাবার দরকার। এখানে পুষ্টিকর খাবার শুধু মাছই রয়েছে। তাও আবার আকাশ ছোঁয়া দাম।’
এ অবস্থায় দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে গাজার জেলেদের জীবন। সেই সঙ্গে অধরা হয়ে গেছে পুষ্টিকর এই খাবারটিও।




