বর্তমানে চীনের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অনারের শেনজেনে চারটি ফ্যাক্টরি রয়েছে। ফ্যাক্টরিগুলোতে দেখা যায় স্মার্টফোন তৈরির একদম শুরুর ধাপ থেকে স্মার্টফোন প্যাকেজিং করা পর্যন্ত তিন দিন সময় লাগে। ১৫০ মিটার লম্বা প্রোডাকশন লাইনে চলে স্মার্টফোন উৎপাদন। প্রতিদিন প্রতিটি লাইন থেকে প্রায় ২ হাজার কমপ্লিট স্মার্টফোন বের হয়। একটি ফ্যাক্টরিতে থাকা বিশটি লাইন থেকে দিনে প্রায় ৪০ হাজার কমপ্লিট স্মার্টফোন বের হয়।
এই লম্বা লাইনের বিশাল অংশের কাজই হয় রোবট ও রোবটিক আর্মের মাধ্যমে, যার বেশিরভাগই অনারের নিজস্ব এইচআইইপি-অনার ইন্টেলিজেন্ট ইকুইপমেন্ট প্ল্যাটফর্মের অধীনেই তৈরি। লাইন প্রতি মানুষের উপস্থিতি হাতে গোনা চার থেকে পাঁচজন। এমনকি বাল্ক কোয়ান্টিটির রেডি প্রোডাক্ট স্টোর করার জন্যও কারখানাগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে রোবটের।
প্রোডাকশনে যাওয়ার আগে মূল কাজ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিমের, যার জন্য আস্ত একটি বিল্ডিং বরাদ্দ করেছে অনার। রোবট ও মানুষের সমন্বয়ে কাজ করা রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিম বাজারে আসার আগে প্রতিটি মডেলের উপর নানারকম পরীক্ষা চালায়।
স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে ২৫ হাজারবার জোরে ছুড়ে ফেলে ড্রপ টেস্ট করা হয় স্মার্টফোনের। টেস্টের অংশ হিসেবে ফোল্ডিং স্মার্টফোনগুলোকে ৫০ হাজার বার হিঞ্জ টেস্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
আরও পড়ুন:
চার হাজারবার ফোন বাঁকানোরও চেষ্টা করা হয় মেশিনের সাহায্যে। অনারের নিজস্ব এনভায়রনমেন্ট রিলায়েবিটি ল্যাবরেটরিতে মাইনাস থার্টি ডিগ্রি থেকে সেভেন্টি ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড টেম্পারেচারে স্মার্টফোন টেস্ট করা হয়।
এছাড়া এই আরএনডি সেন্টারের আলাদা আলাদা নির্দিষ্ট রুমে রেডিয়েশন, সিগন্যাল টেস্টিং ও সুপারকম্পিউটার দিয়ে স্মার্টফোনের পারফর্মেন্স টেস্ট করা হয়।
‘গো বিয়ন্ড’ স্লোগান নিয়ে পরিচালিত হওয়া ব্র্যান্ডটির রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিম প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে উৎকর্ষে ছাড়িয়ে যাওয়ার গবেষণা।
এর ফলশ্রুতিতে প্রতি তিন মিনিটে দুটি করে পেটেন্ট পায় অনার। এখন পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ পেটেন্ট পেয়েছে অনার। অনারের এই রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারই উদ্ভাবন করেছে স্মার্টফোনের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে পাতলা ব্যাটারি।
রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিম কোথাও কোনো সমস্যা পেলে তার সমাধান করার পরই কারখানায় চূড়ান্ত উৎপাদন শুরু হয় স্মার্টফোনের।





