শীতের সেরা সবজি পালংশাক; রক্তশূন্যতা দূর করে রাখে শরীর তরতাজা

পালং শাক
পালং শাক | ছবি: সংগৃহীত
0

শীত এলেই বাজার ভরে যায় নানান সবুজ শাকসবজিতে, আর তার মধ্যে অন্যতম পুষ্টিকর শাক হলো পালংশাক। যদিও এটি সারা বছরই পাওয়া যায়, তবে এর সেরা মৌসুম শীতকাল। আয়রন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, সি ও কে-সমৃদ্ধ পালংশাক শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, শরীরকেও রাখে সুস্থ ও কর্মক্ষম। এই শাক শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, পাশাপাশি রক্তস্বল্পতা দূর করতেও কার্যকর। তাই শীতের এই মৌসুমে নিয়মিত পালংশাক খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা হতে পারে সুস্থ ও প্রাণবন্ত জীবনের সহজ উপায়।

পালংশাকের উপকারিতা

পালংশাক খুব পুষ্টিকর একটি শাক। এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও ফাইবার আছে, যা শরীরকে শক্তি দেয় ও সুস্থ রাখে। এটি হজমে সাহায্য করে, রক্ত বাড়ায় এবং চোখ ও ত্বকের জন্য ভালো। কম ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে পালংশাক।

আরও পড়ুন:

পালং শাক |ছবি: সংগৃহীত

ওজন কমাতে সাহায্য করে পালংশাক

শীতের সবজির তালিকায় পুষ্টিগুণে ভরপুর অন্যতম নাম পালংশাক। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এটি শক্তি জোগায় এবং ওজন কমাতে সহায়ক। পালংশাকে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফোলেট ও ভিটামিন এ–এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, যা শরীরকে রাখে সবল ও সক্রিয়।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে পালং শাক

এতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ, ক্যারোটিন, আয়োডিন, সোডিয়াম, ফসফরাস ও প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। বিশেষ করে ক্যারোটিন ও ক্লোরোফিল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

চোখেরে উপকারে পালংশাক

ভিটামিন এ–সমৃদ্ধ হওয়ায় পালংশাক চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

আরও পড়ুন:

কেন খাবেন পালংশাক?

  • কম ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে।
  • ফাইবার থাকায় হজমশক্তি বাড়ায়।
  • ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ায় চোখের জন্য ভালো।
  • অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় কোষের ক্ষয় রোধ করে ও ত্বক উজ্জ্বল রাখে।
  • ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়াম হৃদ্‌স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।


পালন শাক |ছবি: সংগৃহীত

পুষ্টিগুণ বজায় রেখে পালংশাক রান্নার উপায়

কম সময় নিয়ে সিদ্ধ করা: পালংশাককে প্রায় এক মিনিটের জন্য সিদ্ধ বা ভাপানো যেতে পারে। এতে অক্সালিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমে যায় এবং পুষ্টিগুণ অপচয় হওয়ার সুযোগ পায় না।

ভাপানো বা অল্প ভাজা: পালংশাক অল্প তেলে অল্প আঁচে ভেজে নেওয়া একটি সহজ পদ্ধতি। এতে পুষ্টির অপচয় কম হয়।

রান্নার পানি ব্যবহার: যদি পালংশাক সিদ্ধ করেন, তাহলে অতিরিক্ত পুষ্টি ধরে রাখতে সিদ্ধ করা পানি ফেলে না দিয়ে স্যুপ বা ঝোলের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, কারণ এতে কিছু ভিটামিন এবং খনিজ থাকে।

অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে রান্না: পালং শাক পাস্তা, সস, বা স্টু-র মতো খাবারে যোগ করতে পারেন। এতে পালংশাকের পুষ্টিগুণ অন্যান্য উপাদানের সাথে মিশে যায় এবং এর পুষ্টিমান বজায় থাকে।

কাঁচা খাওয়া: পালংশাক কাঁচা সালাদে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে পালংশাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনের মতো পুষ্টিগুলো অক্ষুণ্ণ থাকে।

পালং শাক রান্না |ছবি: সংগৃহীত

এফএস