ভিটামিন
করলার তিতকুটে স্বাদে লুকিয়ে আছে বহু পুষ্টিগুণ

করলার তিতকুটে স্বাদে লুকিয়ে আছে বহু পুষ্টিগুণ

বাংলাদেশে করলা একটি অত্যন্ত পরিচিত সবজি। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমবেশি এ সবজি রান্না করা হয়। যদিও করলার তিতকুটে স্বাদ অনেকের পছন্দ নয়, তবু এর পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা একে বিশেষ করে তোলে। করলা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপকারী। এছাড়া এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হজমে সহায়তা করে। নিয়মিত পরিমাণমতো করলা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন, অতিরিক্ত বা ভুলভাবে করলা খাওয়ার ফলে শারীরিক অস্বস্তি ও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই এর গুণাগুণ পেতে পরিমিত মাত্রায় করলা খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

শীতের সেরা সবজি পালংশাক; রক্তশূন্যতা দূর করে রাখে শরীর তরতাজা

শীতের সেরা সবজি পালংশাক; রক্তশূন্যতা দূর করে রাখে শরীর তরতাজা

শীত এলেই বাজার ভরে যায় নানান সবুজ শাকসবজিতে, আর তার মধ্যে অন্যতম পুষ্টিকর শাক হলো পালংশাক। যদিও এটি সারা বছরই পাওয়া যায়, তবে এর সেরা মৌসুম শীতকাল। আয়রন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, সি ও কে-সমৃদ্ধ পালংশাক শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, শরীরকেও রাখে সুস্থ ও কর্মক্ষম। এই শাক শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, পাশাপাশি রক্তস্বল্পতা দূর করতেও কার্যকর। তাই শীতের এই মৌসুমে নিয়মিত পালংশাক খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা হতে পারে সুস্থ ও প্রাণবন্ত জীবনের সহজ উপায়।

মাশরুম: সুস্বাদু খাদ্য থেকে স্বাস্থ্য রক্ষার কবচ!

মাশরুম: সুস্বাদু খাদ্য থেকে স্বাস্থ্য রক্ষার কবচ!

মাশরুম শুধু সুস্বাদু খাবারই নয়, এটি প্রাকৃতিকভাবে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর একটি পুষ্টিকর খাদ্য। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এটি খাদ্য ও ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে শতাব্দী ধরে। বাংলাদেশেও মাশরুম চাষ ধীরে ধীরে লাভজনক ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শহর-বাংলার মানুষ এখন মাশরুমকে শুধু স্যুপ, সালাদ বা রান্নার উপকরণ নয়, বরং স্বাস্থ্য রক্ষার ‘কবচ’ হিসেবেও গ্রহণ করছে। আজ আমরা জানবো মাশরুমের আদ্যোপান্ত।

প্রতিদিন একটি আপেল: প্রাকৃতিক মিছরি, সুস্থতার নিশ্চয়তা

প্রতিদিন একটি আপেল: প্রাকৃতিক মিছরি, সুস্থতার নিশ্চয়তা

আপেলকে প্রাকৃতিক মিছরি বলা হয়। এটি ভিটামিন সি, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা শরীরকে সুস্থ রাখে। প্রতিদিন একটি আপেল খেলে হজম ভালো থাকে, শক্তি বজায় থাকে এবং ইমিউন সিস্টেম মজবুত হয়। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ম্যাঙ্গানিজ, বায়োটিন ও প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। সকালে আপেল খাওয়ার অভ্যাস সারাদিনের জন্য শরীরকে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখে এবং দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যসম্মত করে তোলে।

ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত রঙিন চাল

ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত রঙিন চাল

সাম্প্রতিক সময়ে ব্লাক রাইস বা রঙিন চাল নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন নতুন গবেষণা। এই চালের খাদ্যগুণ, ঔষধি গুণাবলি এবং অর্থনৈতিক মূল্য খাদ্যশৃঙ্খলকে সমৃদ্ধ করতে পারে। রঙিন চালের অন্যতম বিশেষত্ব এর পুষ্টিগুণ। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আঁশ, আয়রন এবং ভিটামিন বি পাওয়া যায়। বিশেষ করে এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।