জামায়াতের নারী কর্মীদের হয়রানির প্রতিবাদ-নিন্দা অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দিকার

জামায়াতে ইসলামী লোগো
জামায়াতে ইসলামী লোগো | ছবি: এখন টিভি
0

দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারী বিভাগের কর্মীদের হয়রানির প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন দলটির নারী বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দিকা। আজ (বুধবার, ২৯ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ নিন্দা জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারী বিভাগের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনি প্রচারের কাজে বাধা দেয়ার উদ্দেশে হামলা ও হয়রানী করা হচ্ছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘খোঁজ নিয়ে জানা যায়— নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গতকাল (মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর) বিকেলে দেওটি ইউনিয়নের উত্তর দেওটি মাঈন উদ্দিন ব্যাপারি বাড়িতে জামায়াতের নারী শাখার আমেরিকান প্রবাসী আবদুল ওয়াদুদের ঘরের উঠানে কুরআন তালিমের আয়োজন করা হয়। বিকেলে প্রোগ্রাম শুরুর আগ মুহূর্তে সেখানে স্বেচ্ছাসেবক দলের দেওটি ইউনিয়ন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রবিন, শাহ আলম ও লিটনসহ কয়েকজন মিলে তাদের অনুমতি না নিয়ে এ প্রোগ্রাম আয়োজন করার বিষয়ে জানতে চেয়ে জামায়াতের নারী নেত্রীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করে সভা পণ্ড করা হয়। ঘটনার একটি ভিডিও এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।’

এছাড়া একইভাবে মঙ্গলবার নওগাঁ সদর উপজেলায় বোয়ালিয়া মাদ্রাসা মাঠে জামায়াতে ইসলামীর পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনী উঠোন বৈঠকে বাধা দেয়া হয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়েছে, গত ২০ অক্টোবর ফেনীর সদরের ফাজিলপুরে নারী জামায়াতের কুরআন তালিমের প্রোগ্রামে বাধা, গত ৯ অক্টোবর নোয়াখালী পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুরে বাধা দেয়া, নোয়াখালী-৪ (সদর সুবর্ণচর) আসনে বৈঠক চলাকাল বাধা সৃষ্টি করা হয়।

আরও পড়ুন:

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এসব ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি এ ধরনের অগণতান্ত্রিক আচরণ নতুন স্বৈরাচারের উথান ঘটাবে। যা মোটেই কাম্য নয়। পরিবেশের সৌন্দর্য হলো প্রত্যেকের নিজ নিজ মত প্রকাশের স্বাধীনতা। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দীর্ঘ সময়ে বিরোধী মতের কেউই নিজেদের স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারেনি। বরং বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী সকল দলের নেতাকর্মীদের সবসময় জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা সেই নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়ের জগদ্দল পাথর থেকে মুক্ত হয়েছি।’

বিষয়টি গণতন্ত্রিক মনোভাবের প্রতি শত্রুতা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিন্তু উদ্বেগের সাথে লক্ষ করা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু রাজনৈতিক উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করছে। এটা গণতান্ত্রিক মনোভাবের প্রতি শত্রুতা। ভিন্নমতের সহাবস্থানকে তারা মেনে নিতে পারছে না। দলীয় জনবল নিয়ে পেশিশক্তির ব্যাবহার স্বৈরাচারের পদধ্বনি । দেশের বিভিন্নস্থানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নারী বিভাগের নেতাকর্মীদের ওপর হয়রানী করা, তাদের কার্যক্রমে বাধা দেয়ার মাধ্যমে তারা নারীদের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করছে। আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা কামনা করছি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নিজ দলের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন আশা করছি। একইসঙ্গে দেশের সকল গণতান্ত্রিক মুক্তমনা মানুষকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এসএস