এ ঘটনায় অভিযুক্ত অপর এক ছাত্রকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করেছে পুলিশ। আজ (সোমবার, ২৭ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।
নিহত ছাত্রের নাম মো. নাজিম উদ্দিন (১৩)। তিনি উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যার ছেলে। আটক ছাত্রের নাম আবু ছায়েদ (১৬), ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুজনই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র। নাজিম ২২ পারা ও ছায়েদ ২৩ পারা কোরআন হেফজ সম্পন্ন করেছে। প্রায় ১০-১৫ দিন আগে টুপি পরা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে এক শিক্ষক বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। তবে ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ছায়েদ সোনাইমুড়ী বাজার থেকে ৩০০ টাকায় একটি ধারালো ছুরি কিনে আনে।
আরও পড়ুন:
রোববার রাতে মাদরাসার আবাসিক কক্ষে ১৪ জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে ছায়েদ ঘুম থেকে উঠে ঘুমন্ত নাজিমের গলা কেটে দেয়। নাজিমের গোঙানির শব্দে অন্য ছাত্র ও শিক্ষক জেগে উঠে ঘটনাটি দেখতে পান।
ওসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে ভোররাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, টুপি পরা নিয়ে পূর্ব বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে।’
নাজিমের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।




