আজ (রোববার, ২৬ অক্টোবর) কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ১৩তম আসিয়ান–যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ট্রাম্প। সম্মেলনের আয়োজক মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার নেতৃত্ব এ অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক ভূমিকার প্রতিফলন।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরের দুই তীরের দেশগুলোর জন্য অসাধারণ সমৃদ্ধি গড়ে তুলবো এবং নতুন সুযোগের দ্বার খুলবো।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রতি মালয়েশিয়ার সমর্থন ব্যক্ত করেন।
আনোয়ার বলেন, ‘আপনার উদ্যোগ বিশ্বকে আশার এক ক্ষীণ আলো দেখিয়েছে যে, দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতেও কূটনীতি ও সদিচ্ছা বিজয়ী হতে পারে।’
আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা শান্তি প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ, আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধান ও পুনর্গঠনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলের ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার, বন্দি বিনিময় এবং আন্তর্জাতিকভাবে তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অন্তর্বর্তী ফিলিস্তিনি প্রশাসন গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এর আগে দিনের শুরুতে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘাত অবসানে এক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্প ও আনোয়ার ইব্রাহিম।
এ চুক্তিকে বিশ্বজুড়ে সংঘাত নিরসনের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আজকের এ স্বাক্ষর আমাদের প্রশাসনের শান্তি কূটনীতির একটি বড় মাইলফলক। আট মাসে আমরা বিশ্বের আটটি সংঘাতের সমাপ্তি এনেছি।’
মধ্যপ্রাচ্যে এখন এক নতুন দিন শুরু হয়েছে। তিনহাজার বছরের সংঘাতের অবসান ঘটবে, এবারের শান্তি স্থায়ী হবে বলেও যোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।





