প্রথম মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে নিজে উত্তর কোরিয়ায় গিয়ে সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইতিহাস গড়ে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মালয়েশিয়ায় আসিয়ান সম্মেলন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় অ্যাপেক সম্মেলন ঘিরে এবারের এশিয়া সফরেও ট্রাম্প-কিমের দেখা হয় কি-না তা নিয়ে জল্পনা শুরু থেকেই।
এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প নিজেই জানালেন কিমের সঙ্গে সাক্ষাতে আগ্রহী তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে দেখা হয় কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেননি ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ আমার দেখা করার ইচ্ছা আছে। তবে সাক্ষাৎ হবে কিনা এখন বলা যাচ্ছে না। আমরা তাকে জানিয়েছি। সে জানে যে আমি সেখানে যাচ্ছি। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো।’
৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি-জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে বেইজিংয়ের ওপর ওয়াশিংটনের আরোপ করতে যাওয়া ১৫৭ শতাংশ শুল্ক স্থায়ী নাও হতে পারে বলে মনে করছেন ট্রাম্প। এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের অবস্থানে চীন সহায়তা করবে বলেও প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এছাড়া আলোচনায় স্থান পাবে তাইওয়ান প্রসঙ্গ এবং হংকংয়ের মিডিয়া মোগল ও গণতন্ত্রপন্থী নেতা জিমি লাইয়ের মুক্তি দেয়ার বিষয়টিও।
আরও পড়ুন:
ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট শি’র সাথে আমাদের অনেক কিছু কথা বলার আছে। মনে হয় আমাদের সাথেও তার অনেক কিছু বলার আছে। সব মিলিয়ে মনে হয় আমাদের একটি ভালো বৈঠক হবে।
এ সফরে অনেক রাষ্ট্র নায়কের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা থাকলেও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে দেখা করার কোনো ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি বাণিজ্য ইস্যুতে কানাডার উপর ক্ষোভও ঝেড়েছেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘আমি কানাডার আচরণে খুবই হতাশ। তারা মিথ্যা বলেছে। আমার তার সাথে দেখা করার কোন ইচ্ছে নেই।’
রোববার মালয়েশিয়ায় শুরু হতে যাওয়া ৪৭তম আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক শান্তি চুক্তির নেতৃত্ব দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্মেলন ঘিরে বিশ্ব নেতাদের আগমনে কুয়ালালামপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে মালয়েশিয়ার। সম্মেলনে ঢোকার পথে চালানো হচ্ছে তল্লাশি।
ট্রাম্পের ৫দিনে এশিয়া সফর সূচিতে মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও রয়েছে জাপান। এবারের সফরে জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক তৈরি হবে বলে প্রত্যাশা করছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি বড় বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে বলেও আশা করা হচ্ছে। দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার ১০ মাসের মাথায় ট্রাম্পের এটিই প্রথম এশিয়া সফর।





