যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুতে কোনোভাবেই সুবিধা করতে পারছে না কানাডা। ট্রাম্পের দফায় দফায় মন পরিবর্তনে নাজুক অবস্থানে অটোয়ার অর্থনীতি।
ট্রাম্পের অভিযোগ, শুল্ক নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের নেতিবাচক কথা সম্বলিত একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করে কানাডা, সে কারণে সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা বাতিল করেন তিনি। যা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। গুরুত্ব দিয়েছেন বিকল্প বাজার খোঁজার ব্যাপারে। আর তাই তো নয়দিনের এই এশিয়া সফর।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেন, ‘মাসের পর মাস ধরে আমরা চিন্তিত। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি আমরা চাইলেই নিজেদের মতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। বিভিন্ন সময় এটা পরিবর্তন হয়েছে। এখন সবার ওপরই শুল্ক দিয়েছে তারা। আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিছু অগ্রগতি হয়েছে অবশ্যই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, নতুন কোনো চুক্তি। এশিয়ার অর্থনৈতিক বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে সে বিষয়ক।’
আরও পড়ুন:
কানাডার প্রায় ৭৫ শতাংশ রপ্তানি আমেরিকায়। এ অবস্থান বদলানোর চেষ্টা করছেন কার্নি। এ লক্ষ্যে আগামীকাল (রোববার, ২৬ অক্টোবর) ও সোমবার (২৭ অক্টোবর) কুয়ালালামপুরে বসছে আসিয়ান সম্মেলন, যোগ দিচ্ছেন তিনি। সফর করবেন সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশে।
এসময় চীনের প্রেসিডেন্ট শি’র সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। সফরে দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করতে চান তিনি।
বিভিন্ন দেশের ওপর যে বর্ধিত শুল্কারোপ করেছেন তাতে কানাডা থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। তবে নিজের প্রথম মেয়াদে দুই প্রতিবেশী মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেছিলেন, তার আওতায় থাকা পণ্যগুলো এ শুল্ক থেকে ছাড় পাচ্ছে। এতেও কানাডার সংকট কাটছে না, মন্থর হয়ে আসছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
ট্রাম্প কানাডার পণ্যে খাতওয়ারি আলাদা শুল্কও দিয়ে রেখেছেন। যার মধ্যে ধাতুতে ৫০ শতাংশ এবং অটোমোবাইলে আছে ২৫ শতাংশ। ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়ির ওপর হোয়াইট হাউস যে সার্বজনীন শুল্ক বসিয়েছে তাতে কানাডাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বেকার হয়েছেন বহু মানুষ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর পড়েছে মারাত্মক চাপ।
ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও কানাডার পণ্যে ট্রাম্প যে হারে শুল্ক আরোপ করেছেন, তা প্রতিবেশী দেশটির সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।





