খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জেলার ৯টি উপজেলা থেকে ১২ হাজার ৬১২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছেন ৬ হাজার ৫৩৩ জন। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৮৫ জন পরীক্ষার্থী।
আর পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন ৬ হাজার ৭৯ জন। এর মধ্যে জেলার বিজয়নগর উপজেলার নিদারাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে অংশ নেয়া ব্যবসায় শিক্ষার একজন ও মানবিক শাখার ৫ জন পরীক্ষার্থীদের সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।
একই উপজেলার চানপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে অংশ নেয়া ১১ জন পরীক্ষার্থীর কেউ-ই পাশ করতে পারেনি। প্রত্যেকেই মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন:
এছাড়া নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকেও অংশ নেয়া ৪ পরীক্ষার্থীর কেউ পাশ করেনি।
নিদারাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক আবদুল হান্নান মেহাম্মদ আজমল বলেন, ‘সব পরীক্ষার্থী ফেল করার ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। পরীক্ষার পর সবাই বলেছিল পরীক্ষা ভালো হয়েছে। কেন এমন হলো সেটি বোধগম্য নয়।
তবে ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে, সেজন্য সচেষ্ট থাকবেন বলেও জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষাব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। সরকার চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা যেন সার্টিফিকেট নির্ভর না হয়ে মেধাসম্পন্ন হয়। এর জন্য এবার পাশের হার কমেছে। যে তিনটি কলেজের সব পরীক্ষার্থী ফেল করেছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’





