বাংলাদেশের আক্রমণভাগে ব্যর্থতার বড় কারণ ‘পরিশ্রমের অভাব’: এমিলি

সাবেক ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি
সাবেক ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি | ছবি: এখন টিভি
0

গোলখরায় বাংলাদেশ ফুটবল দলের ফরোয়ার্ডরা। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ার পর আরও একবার আলাপ উঠেছে আক্রমণভাগের ব্যর্থতা নিয়ে। স্বীকৃত ফরোয়ার্ডদের মধ্যে রাকিব হাসান ছাড়া গেলো দুই বছরে আর কারো কাছ থেকেই গোল পায়নি বাংলাদেশ। দেশি ফরোয়ার্ডদের এমন গোলখরার পেছনে কোচ বা পরিবেশের চেয়ে পরিশ্রমের ঘাটতিকেই বড় করে দেখছেন সাবেক স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি।

চার ম্যাচে পাঁচ গোল। এশিয়ান কাপের বাছাই থেকে বাদ পড়লেও গোল করার দিক থেকে নিজেদের অন্যতম সেরা সময় পার করছে বাংলাদেশের ফুটবল। তবে দলের প্রয়োজনে গোল করার গুরুদায়িত্বটা নিয়েছেন বাংলাদেশের মিডফিল্ডাররা। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পাঁচ গোলের মাঝে তিন গোলই করেছেন মাঝমাঠের সেনানীরা।

সিঙ্গাপুর এবং হংকং চায়না অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল করেছেন ফরোয়ার্ড রাকিব। ২০২৪ সাল থেকে স্বীকৃত ফরোয়ার্ডদের মধ্যে গোলের সঙ্গে সখ্যতা কেবল তারই। ক্লাব পজিশন উইঙ্গার থেকে জাতীয় দলে স্ট্রাইকার বনে যাওয়া ফয়সাল আহমেদ ফাহিম সবশেষ গোল পেয়েছিলেন ২০২৩ এর অক্টোবরে মালদ্বীপের বিপক্ষে। রাকিব-ফাহিম জুটির একসঙ্গে গোল পাওয়ার সবশেষ ঘটনাও সেটিই।

হালের সময়ে গোল স্কোরিংয়ে কিছুটা আশা দেখাচ্ছেন শেখ মোরসালিন। ২০২৪ সালে ৮ ম্যাচে বাংলাদেশ পেয়েছিল তিন গোল। যার দুটিই এসেছিল মিডফিল্ডারের ভূমিকায় থাকা মোরসালিনের কাছ থেকে। দুই বছরে স্বীকৃত ফরোয়ার্ডদের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি মোটে দুই গোল৷ দেশি ফরোয়ার্ডদের এমন গোলখরার পেছনে কোচ বা পরিবেশের চেয়ে পরিশ্রমের ঘাটতিকেই বড় করে দেখছেন সাবেক স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি।

আরও পড়ুন:

বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘আমাদের সময় একটি হেলদি কম্পিটিশন ছিলো স্ট্রাইকিং পজিশনে। ওই কম্পিটিশনটি না থাকার কারণে আমাদের স্ট্রাইকিং জায়গাতে বড় গ্যাপ তৈরি হয়েছে। যারা লোকাল স্ট্রাইকে খেলে তাদের পারর্ফম্যান্সের প্রতি কোনো কনসার্ন নেই। তাদের নিজেদের ডেডিকেশনের অনেক অভাব রয়েছে।’

ঘরোয়া লিগে স্ট্রাইকার মানেই বিদেশিদের ছড়াছড়ি। আড়ালে থাকছেন দেশিরা। এমিলি অবশ্য গোল স্কোরার উঠিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় বিদেশি তারকাদের উপস্থিতিকে বড় করে দেখছেন না। বরং প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাব না থাকাকেই দায় দিচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।

জাহিদ হাসান আরও এমিলি বলেন, ‘ঘরোয়া ফুটবলে আমরা যখন খেলেছি তখনও বিদেশি প্লেয়াররা খেলেছে। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরাও গোল করেছি। স্পষ্টভাবে বলতে গেলে আমাদের স্টাইকারদের কোনো সিরিয়াসনেস আমি এখনও দেখি নাই।’

জাতীয় দলে হামজা-শমিতদের উপস্থিতি খেলায় এনেছে গতি, এসেছে বৈচিত্র্য। তবে গোলের খেলা ফুটবলে এখন পর্যন্ত ফরোয়ার্ডদের গোল না পাওয়ার আক্ষেপটাই বাংলাদেশকে ভোগাতে পারে সামনের দিনগুলোতেও।

এফএস