চীনের ওপর নতুন করে ১০০ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি : সংগৃহীত
0

চীনের ওপর নতুন করে অতিরিক্ত ১শ' শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নভেম্বরের প্রথম দিন থেকে নতুন এ শুল্ক কার্যকরের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। এর আগে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের কথাও বলেছিলেন ট্রাম্প। পরে সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের বিরল খনিজ পদার্থ রপ্তানির নিয়মে কঠোর পরিবর্তনের প্রতিশোধ হিসেবেই নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প।

আবারও ঘনীভূত হচ্ছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ। নতুন করে চীনের ওপর ১০০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী নভেম্বরের শুরু থেকে এ শুল্ক কার্যকর হবে। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন।

পোস্টে ট্রাম্প আরও বলেন, আগামী মাস থেকে চীনের তৈরি গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যারসহ সকল পণ্যের ওপর বড় ধরণের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। এর আগে শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যালের আরেক পোস্টে চীনের খনিজ পদার্থ রপ্তানিতে নতুন কঠোর নিয়মের সমালোচনা করেন ট্রাম্প। বলেন চীন ক্রমশ শত্রুতাপূর্ণ আচরণ করছে।

চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর আমদানি শুল্ক আরোপ করলে, চীন তাদের বিরল খনিজ পদার্থ রপ্তানি নিয়মে কিছু কঠোর পরিবর্তন আনে। এতেই বিপাকে পড়ে বেশকিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠান।

আরও পড়ুন:

চীনের বিরল খনিজ পদার্থ গাড়ি স্মার্টফোনসহ বহু শিল্প পণ্যের তৈরির অপরিহার্য উপাদান। চীনের কঠোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের কারণে অনেক মার্কিন কোম্পানি সরবরাহ সংকটে পড়ে, এমনকি ফোর্ড মোটর কোম্পানিকেও অস্থায়ীভাবে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়।

অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, এবার যেন সেই ক্ষতিপূরণের প্রতিশোধই নিলেন ট্রাম্প। শুল্ক আরোপের পাশাপাশি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠক বাতিলের কথাও বলেছিলেন ট্রাম্প। পরে অবশ্য জানান, চীনা প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠক বাতিল করেননি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি, বৈঠক বাতিল করিনি। তবে আমি জানি না বৈঠকটি হবে কিনা। আমি আলোচনার জন্য প্রস্তুত তাই ধরে নিচ্ছি বৈঠকটি হবে। কিন্তু তারা এমনকিছু নিয়মনীতির মাধ্যমে বিশ্বকে আঘাত করেছে, যা অপ্রত্যাশিত। তাদের রপ্তানি নিয়মের বিষয়ে কারো ধারণা ছিলো না।’

চলতি বছরের শুরুতে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের পর একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে শুল্ক কমিয়ে আনার ব্যাপারে রাজি হয় দুই দেশ। এরপরই হঠাৎ ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলো ট্রাম্প। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপের জবাবে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বেইজিং।

ইএ