
চীনের ওপর নতুন করে ১০০ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা ট্রাম্পের
চীনের ওপর নতুন করে অতিরিক্ত ১শ' শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নভেম্বরের প্রথম দিন থেকে নতুন এ শুল্ক কার্যকরের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। এর আগে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের কথাও বলেছিলেন ট্রাম্প। পরে সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের বিরল খনিজ পদার্থ রপ্তানির নিয়মে কঠোর পরিবর্তনের প্রতিশোধ হিসেবেই নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প।

১০ দিনের মধ্যে বৈশ্বিক শুল্কনীতি স্থগিতের নির্দেশ মার্কিন ফেডারেল আদালতের
বিশ্বব্যাপী সম্পূরক শুল্কারোপের মাধ্যমে কর্তৃত্বের সীমা অতিক্রম করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাই ১০ দিনের মধ্যে বৈশ্বিক শুল্কনীতি স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন ফেডারেল আদালত। যদিও রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই এর বিরুদ্ধে আপিল করে ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্লেষকরা বলছেন, রায়ে সাময়িক স্বস্তি ফিরলেও এতে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের শুল্কনীতি: বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ও বাণিজ্যিক চাপের আশঙ্কা
মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্কারোপের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বিশ্বজুড়ে। ফলে বাড়তে বাড়ে মূল্যস্ফীতি। এমনটাই আশঙ্কা করছেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিৎজ। আর ধীরে ধীরে ইউরোপসহ বিশ্বের ছোট ছোট দেশগুলোও ট্রাম্পের শুল্কনীতির বেড়াজালে আটকে যাবে বলেও শঙ্কা অনেকের।

ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে শঙ্কায় চীন-ইউরোপসহ প্রতিবেশি বিভিন্ন দেশ
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির হুমকিতে শঙ্কায় আছে চীন থেকে শুরু করে গোটা ইউরোপ এমনকি প্রতিবেশি কানাডা ও মেক্সিকো। অর্থনীতিবিদদের মতে, বিদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত শুল্কারোপ করলে বিশ্বব্যাপী বাড়বে নিত্য পণ্যের দাম। এদিকে, মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কায় আগে থেকেই পণ্য মজুত করতে শুরু করেছেন মার্কিন ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা।