কর্মসূচিতে নওগাঁ ডিবেট ক্লাবের সভাপতি তানজিম বীম বারীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদ, নওগাঁ সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও সাবেক নওগাঁ জেলা শিবিরের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম এবং ছাত্রনেতা আরমান হোসেনসহ অন্যরা। এসময় বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইসরাইল যুদ্ধের শুরু থেকেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে। মানবিক সহায়তা বহনকারী গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌযানে হামলা করার ঘটনা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিশ্ব মোড়লরা চুপ করে তামাশা দেখছে। আমরা তামাশা দেখতে চাই না। কার্যকর ভূমিকা রাখতে চাই। আমাদের প্রতিবাদ করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। আমরা মানবতার পক্ষে দাঁড়াতে পারি।
এসময় ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংসতা বন্ধ করাসহ গাজায় অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত এবং মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবিও জানান তারা।
আরও পড়ুন:
গাজার নিষ্পেষিত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, মানবতা আজ ক্রমেই বিপন্ন হয়ে পড়ছে, আর বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত এ নির্যাতনের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ইসরাইলের এ বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান, যেন অবিলম্বে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়।
নওগাঁ সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও সাবেক নওগাঁ জেলা শিবিরের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম বলেন, ‘যুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহকারীর ৩৫০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। বিশ্বের মোড়লরা গাজা ও ফিলিস্তিনের বিষয় নিয়ে শুধু চেয়ে চেয়ে তামাশা দেখছে। এসব তামাশা আমরা আর দেখতে চাইনা। মানবাধিকার নিয়ে যে বুলি আওড়ানো হচ্ছে তা বুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে। কার্যকর ভূমিকা পালনের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
গাজা ও ফিলিস্তিনে যে বর্বরতম হামলা চালানো হচ্ছে তা শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘন, নৃশংসতা ও পাশবিকতা নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘৃণ্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।





