গেলো দু’দিনের ব্যবধানে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বন্যা কবলিত এলাকা থেকে ৩ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হলেও মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা এড়াতে পারেননি উদ্ধারকর্মীরা। গতকাল (শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর) প্রদেশটির দক্ষিণাঞ্চলের মুলতান জেলায় পানির স্রোতে উল্টে গেছে বন্যা দুর্গতদের বহনকারী একটি নৌকা। এ ঘটনায় শিশুসহ প্রাণ গেছে অন্তত পাঁচ জনের। পাঞ্জাব ছাড়াও এদিন প্রাণহানির খবর মিলেছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে।
উদ্ধার অভিযানে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল এবং নাগরিক প্রতিনিধি সংগঠন। ছোট-বড় নৌকায় করে বন্যা দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি চলছে নিখোঁজ বাসিন্দাদের উদ্ধার অভিযানও।
আরও পড়ুন:
গেলো আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে মাত্রাতিরিক্ত মৌসুমি বৃষ্টির কবলে পড়েছে পাঞ্জাবের দক্ষিণাঞ্চল। বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার ও পুনর্বাসনের জন্য বসানো হয়েছে ৪২৩টি ত্রাণ শিবির ও ৫১২টি অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র। নয় লাখ মানুষের পাশাপাশি সরিয়ে নেয়া হয়েছে ১৩ লাখ গবাদি পশু।
সিন্ধু প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী তিনদিন দেশটির দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের তালিকায় আছে সিন্ধু, পাঞ্জাবের দক্ষিণাঞ্চল ও রাজধানী ইসলামাবাদ।
টিআরটি গ্লোবাল নিউজের তথ্য মতে, ৭৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার পূর্বাঞ্চলের রাভি, সুতলেজ ও চেনাবসহ আরও কয়েকটি নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অন্যদিকে আল জাজিরার তথ্য বলছে, ২০২২ সালের পর এমন ভয়াবহ বন্যার কবলে পাকিস্তান মৌসুমি অতিবৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধসে চলতি বছর দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে।





