‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের জন্ম। সব জায়গায় ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা।
একটি বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে দেশের সংকটে সমাধান হয়ে পাশে থাকে তার সব থেকে বড় প্রমাণ ৩৬ জুলাই। জাতির শিক্ষক হয়ে সেদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পথ দেখিয়েছে বাংলাদেশকে। এনে দিয়েছিল নতুন স্বাধীনতা।
বাংলাদেশকে পথ দেখানো এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুরুটা বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে হয়। যেখানে যোগ দেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। র্যালিটি শেষ টিএসসিতে। পরে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত, উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা।
কী প্রত্যাশা সাধারণ শিক্ষার্থীদের?
শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘যতপ্রকার অন্যায় হোক না কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় তার অবস্থানটা শক্ত রাখবে। প্রতিবারই এটা লিড হিসেবে থাকবে।’
অন্য একজন বলেন, ‘জুলাইয়ের পরই আমরা অনেকটুকুই ফ্যাসিবাদ মুক্ত একটা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছি।’
মানে গুণে এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াবে সবাইকে আশা শিক্ষকদের।
শিক্ষকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমাদের যে বিপুল সংখ্যক কাজ আছে সেটাকে আইডেন্টিফাই করার মতো সোর্স তৈরি করে দিতে পারি যেটা অনলাইনে আইডেন্টিফাই করা যায়। তাহলে কিন্তু র্যাংকিংয়ে একটা বড় জাম্প হতে পারে।’
জুলাই আন্দোলনের পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব আরও বেড়েছে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে এই নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা যে তৈরি হয়েছে, সেই সম্ভাবনাকে যেন আমরা পূর্ণ কাজে লাগাতে পারি। সারা জাতিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ জারি রাখতে চাই।’
পরে আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান তাগিদ দেন শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের সাথে দূরত্ব কমাতে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়েজ বলেন, ‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে এ পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব। আমি সবসময় বিশ্বাস করি শিক্ষকতার সবচেয়ে সুন্দর দিক হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে গুরুত্ব দেয়া।’
বৈষম্য দূর করে এই বিশ্ববিদ্যালয় আবারও সব সংকটে দেশের মানুষের পাশে থাকবে এমন প্রত্যাশা সবার।




