নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের একদিন পরেও ট্রাম্পের মুখে আল শারার জয়জয়কার। কাতারে জিসিসি নেতাদের সঙ্গ বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারী। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মাধ্যমে দামেস্ককে সুযোগ দিতে চেয়েছিলো ওয়াশিংটন। এবার আল শারা প্রশাসনের হাতে সেই সুযোগকে কাজে লাগানোর পালা।
অর্ধ শতাব্দীর স্বৈরশাসনের পতন হয়েছে আল কায়েদার এক কমান্ডারের হাত ধরে। তিনিই এখন দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। যার নেতৃত্বে ৪৬ বছর পর প্রত্যাহার হলো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। তাই সিরিয়ানদের মধ্যে ফিরে এসেছে স্বস্তি।
দেশটির জনগণের আশা, দীর্ঘদিন পর পুরো বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে সিরিয়ানরা। এতে সমৃদ্ধির পাশাপাশি দেশটিতে ঘুরবে অর্থনীতির চাকা। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পেছনে আল শারার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের চলছে প্রশংসা।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘বিদেশ থেকে অর্থ লেনদেন প্রক্রিয়া আরো সহজ হবে। আমাদের মুদ্রার মানে স্থিতিশীলতা ফিরবে।’
অন্য একজন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার কারণে সব ক্র্যাকড সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হতো। এখন থেকে ই- পেমেন্ট, অনলাইন শপিংয়ে গতি ফিরবে।’
জাতির উদ্দেশে ভাষণে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারকে ঐতিহাসিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে মন্তব্য করেছেন আহমেদ আল শারা। নতুন সিরিয়া পুনর্গঠনে বিশ্ববাসীকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা।
তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে আমিও উচ্ছ্বসিত। ঐতিহাসিক ও সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ। নতুন সিরিয়া পুনর্গঠনে সবাই বিনিয়োগের মাধ্যমে এগিয়ে আসুন।’
এদিকে সিরিয়ার অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনে সৌদি আরব পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্স ফয়সাল জানান, দামেস্কের নিজ পায়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা আছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মাধ্যমে শুরু হয়েছে দেশটির নতুন যুগ।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেন, ‘সিরিয়া একা নয়। সৌদি আরব ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটির অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনে সবার আগে থাকবে। বিনিয়োগ ও বিনির্মাণে আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। সিরিয়ার যে সম্পদ রয়েছে, তার সুষ্ঠু ব্যবহারে দেশটির নিজ পায়ে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।’
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, গেলো সপ্তাহে প্রতিটি মার্কিন ডলারের বিপরীতে গুনতে হচ্ছিলো ১২ হাজার ৬০০ সিরিয়ান পাউন্ড। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের ঘোষণার পর যা নেমে এসেছে নয় হাজারের নিচে।




