বছরের অন্যতম শক্তিশালী মার্কিন বিমান হামলায় বিপর্যস্ত ইয়েমেন। শুক্রবার ভোর রাতে চালানো হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল দেশটির রাস ইসা জ্বালানি বন্দর। ইতোমধ্যেই শতক ছাড়িয়েছে হতাহতের সংখ্যা।
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জ্বালানির উৎস ধ্বংস করার লক্ষ্যে চালানো হয় এই অভিযান। তবে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি পেন্টাগন। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর রাস ইসায় রয়েছে তেল পাইপলাইন। যা ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিবর্তনীয় অবকাঠামো। দেশটির ৭০ শতাংশ আমদানি ও ৮০ শতাংশ মানবিক সহায়তা এই বন্দরের ওপর নির্ভরশীল।
এদিকে মার্কিন হামলার জবাবে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এসময় সাইরেনের শব্দে কেঁপে ওঠে ইসরাইলের মধ্যাঞ্চল ও জেরুজালেম। যদিও মিসাইলটি সফলভাবে প্রতিহতের দাবি করেছে আইডিএফ। ১৮ মার্চ অস্ত্রবিরতি ভেঙ্গে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ২০টির বেশি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে গোষ্ঠীটি।
এদিকে স্যাটেলাইট চিত্র সরবরাহের মাধ্যমে মার্কিন হামলার বিরুদ্ধে হুতিদের সহায়তার অভিযোগ উঠেছে চীনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র। তার দাবি, চীনা সরকার বৈশ্বিক শান্তিদূত হওয়ার কথা বললেও এর উল্টো কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘চ্যাং গুয়াং টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিষয়ে তথ্য দিয়ে ইরান মদদ পুষ্ট হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে। বিষয়টি অবহিত করা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটিকে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে চীনা সরকার। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়, শান্তিকে সমর্থনের বিষয়ে চীনের দাবিগুলো মিথ্যা।’
এসময় হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সহায়তার অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক অফ ইয়েমেন ও প্রতিষ্ঠানটির তিন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা নিশ্চিত করেন ট্যামি ব্রুস।




