তিনি লিখেছেন, ‘চীন বিশ্বের বাজারগুলোর প্রতি শ্রদ্ধার যে ঘাটতি দেখিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ ধার্য করছি। এটা অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘আশা করবো, নিকট ভবিষ্যতে চীনসহ বাকি দেশ উপলব্ধি করতে পারবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার দিন আর থাকবে না। মোটেও গ্রহণযোগ্য হবে না।’
আরো পড়ুন:
ট্রাম্প বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অন্তত ৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এসব দেশের প্রতিনিধির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ, অর্থ বিভাগ ও ইউএসটিআর রয়েছে। দেশগুলো বাণিজ্য, বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রা কারসাজি ও অশুল্ক বাধা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে সমঝোতা আলোচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।’
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আমি ৯০ দিনের জন্য পাল্টা শুল্ক স্থগিত অনুমোদন করেছি। একইসঙ্গে এই সময়ের জন্য পাল্টা শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। এটাও অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মুক্তির ডাক দিয়ে বিশ্বব্যাপী আমদানি পণ্যের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়। যেখানে বাংলাদেশি পণ্যে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল।
আরো পড়ুন:
ট্রাম্পের এই ঘোষণায় চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৬ এবং ইইউর ওপর ২০ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের জবাবে মার্কিন পণ্যে ৩৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক ঘোষণা করে চীন। যা কার্যকর ১০ এপ্রিল কার্যকরের কথা জানায় দেশটি।
তবে চীনের পাল্টা পদক্ষেপে বেজায় চটে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৮ এপ্রিল মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্কারোপ প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অন্যথায় বুধবার থেকে চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে সাফ জানান ট্রাম্প।
আরো পড়ুন:
অবশেষে সেই পথেই হাটলেন ট্রাম্প। উল্টো ৫০ শতাংশের পর আরো বাড়িয়ে তা ১২৫ শতাংশ কার্যকর করেছে মার্কিন প্রশাসন। তবে চীন শুল্কারোপ থেকে আপাতত তিনমাসের জন্য স্বস্তি পেল অন্যান্য দেশ।





