টেক্সাসের গাল্ফ উপকূল থেকে নর্থ ক্যারোলাইনার আটলান্টিক উপকূল। প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত এই সমুদ্রতট এখন ঢেকে আছে তুষারের চাদরে।
শতাব্দীর বিরল তুষার ঝড়ের কারণে উপকূলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোর আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তীব্র তুষার ঝড়ের সতর্কতার আওতায় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৬ কোটিরও বেশি বাসিন্দা। সর্বোচ্চ ৪০ ইঞ্চি তুষারপাত দেখেছে নিউইয়র্ক। অঙ্গরাজ্যের পশ্চিমে ডজনখানেক কাউন্টিতে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। এছাড়াও, লুইজিয়ানা, মিসিসিপি, আলাবামা, ফ্লোরিডা ও জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যেও জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
ইতিহাসের সর্বোচ্চ তুষারপাত হয়েছে ফ্লোরিডায়। জর্জিয়া ও সাউথ ক্যারোলাইনায় তুষারপাতের পরিমাণ ছিল ৮ থেকে ১২ ইঞ্চির মধ্যে। ডিপ ফ্রিজ পরিস্থিতিতে হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি বাড়ছেই। তাই বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ স্থানীয় প্রশাসনের। পাওয়ার আউটরেজের তথ্য বলছে, টেক্সাস থেকে জর্জিয়া ও ফ্লোরিডা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ৯০ হাজারের বেশি বাসিন্দা। টেক্সাসে ভেঙ্গেছে ৬৫ বছরের তুষারপাতের রেকর্ড।
উপকূলীয় অঞ্চলগুলোয় ঘূর্ণিঝড় ও তাপপ্রবাহের মতো এখন নিয়মিতভিত্তিতে দেখা যেতে পারে তুষার ঝড়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শৈত্যপ্রবাহের জন্য দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রশাসন ও বাসিন্দাদের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জলবায়ু বিজ্ঞানীদের।
জলবায়ু বিজ্ঞানী ও লেখক বব হেনসন বলেন, ‘জ্বালানি ব্যবস্থা চলমান এই শীত মোকাবিলার উপযোগী করে তৈরি করা হয়নি। গ্যাস পাইপলাইনের অবস্থাও ভালো না। বিদ্যুতের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবস্থাও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জর সম্মুখীন হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, এমন শীত মোকাবিলার জন্য আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত নই।’
বৈরি আবহাওয়ায় গেল দুইদিনে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বাতিল হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ফ্লাইট। বিলম্বিত ফ্লাইটের সংখ্যা ৯ হাজারের বেশি। বন্ধ রয়েছে ১০টির বেশি বিমানবন্দর।