সাগরিকায় এক দিনের বিরতি শেষে হাইভোল্টেজ লড়াই। ঘরের দল চিটাগং কিংসের প্রতিপক্ষ তামিমের ফরচুন বরিশাল। পরের ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর প্রতিপক্ষ খুলনা টাইগার্স।
এদিন প্রথম ম্যাচে টস জিতে বোলিং করা বরিশালের বিপক্ষে শুরুটা ভালো করেছিল উসমান খান। একের পর এক বাউন্ডারিতে শুরু থেকেই বরিশালের বোলারদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। তবে উড়তে থাকা উসমানকে সাজঘরে পাঠানোর কাজটা করেন তরুণ দেশি পেসার রিপন মন্ডল। এদিন বল হাতে দুর্দান্ত স্পেলে তুলে নেন, চিটাগংয়ের তিনটি উইকেট।
উসমানের ১৯, ক্যাপ্টেন মিথুনের ৩৫ আর শেষ দিকে আরাফাত সানির ২৭ রানের কল্যাণে ১২১ রানের পুঁজি পায় চট্টলা শিবির। তামিমদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন রিপন মন্ডল ও ফাহিম আশরাফ।
ছোট রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো করেনি বরিশাল। দলীয় ১৬ রানে ২ উইকেট হারালে কিছুটা চাপে করে তারা। তবে ইংলিশ ব্যাটার ডেভিড মালানের ফিফটি আর শেষদিকে মোহাম্মদ নাবীর ২৬ রানের ইনিংসে ১৯ বল হাতে রেখেই জয় পায় তামিম-রিয়াদরা।
দিনের আরেক ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাটিংয়ে শুরুটাও ভালো করে দলের দুই ওপেনার। ৪২ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ২৭ রানে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম। এরপর মিরাজও বিদায় নিলে রানের চাকা সচল রাখেন আফিফ হোসেন। ৩৫ বলে অর্ধ শতকের দেখা পান এই অলরাউন্ডার। শেষে মাহিদুল অংকনের ১২ বলে ৩০ রানের ইনিংসে ২০৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় খুলনা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে জিসানের ঝড়ো ইনিংসে দারুণ শুরু করে রাজশাহী। ১৫ বলের ৩০ রান করে জিসানকে থামান খুলনার পেসার হাসান মাহমুদ। এরপর আরেক ওপেনার মোহাম্মদ হারিসকেও শিকার বানান এই পেসার।
তবে এরপরই রায়ান বার্লকে নিয়ে ম্যাচের হাল ধরেন অধিনায়ক এনামুল বিজয়। ২৫ রানে বার্ল ফিরলেও সেঞ্চুরির দেখা পান বিজয়। তবে শেষ ওভারে ৭ রানের আক্ষেপে ম্যাচ হারে বিজয়ের দল।