আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে ব্যাংক খাত থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা অর্থ লুটপাটে খেলাপি ছাড়িয়েছে পৌনে তিন লাখ কোটি টাকার বেশি। কিছু কিছু ব্যাংকে এ হার ১০ শতাংশের বেশি। ফলে তারল্য সংকটে ভুগছে ব্যাংকগুলো। আর এ খাতের প্রতি গ্রাহকের আস্থা চরম সংকটে।
ঋণ খেলাপির তথ্য অনেকটাই কম দেখিয়ে আসছিল বিগত সরকার। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর এ খাতের আসল চিত্র সামনে আসতে শুরু করে।
এতে আগামীতে খেলাপি ঋণ আরো বাড়তে পারে। যা খুঁজে বের করতে ব্যাংকগুলোর বিশেষ নিরীক্ষা শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার রাজধানীতে এক সম্মেলনে গভর্নর জানান, ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দুই থেকে তিন শতাংশে থাকা সহনীয়। আধুনিকায়ন ছাড়া ব্যাংকিং খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে আপনারা জনবল সংকট কাটাতে পারবেন। অত বেশি জনবল লাগবে না। দ্বিতীয়ত হচ্ছে ম্যানেজম্যান্টের কোয়ালিটি ইম্প্রুভ করবে। দক্ষতা বৃদ্ধির যে কথা বলছেন তার শেষ অংশ আমরা এর মাধ্যমে অর্জন করতে পারবো। তো ডিজিটাইজেশনটাকে আপনারা একটু নজরে আনেন।’
আর অর্থ উপদেষ্টা জানান আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাগুলো থেকে অন্তর্বর্তী সরকার ভালো সাড়া পাচ্ছে। শুধু কিস্তির টাকা আদায় না করে ব্যাংকগুলোকে গ্রাহকের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার আহ্বান জানান অর্থ উপদেষ্টা।