এখন জনপদে
0

পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকার পরও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি ঝালকাঠি পৌরসভায়

পালাক্রমে পৌর পরিষদের পরিবর্তন হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ঝালকাঠি পৌরসভায়। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভায় নাগরিক সেবার মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। পরিকল্পনার অভাব, ড্রেনেজ ব্যবস্থার কমতি, খানাখন্দে ভরা রাস্তা, ময়লা ফেলার ডাম্পিং স্টেশনের অভাবসহ অধিকাংশ নাগরিক সুবিধা থেকেই বঞ্চিত পৌরবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ বছর বছর অর্থ বরাদ্দের পরও হচ্ছেনা কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন।

প্রায় ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ঝালকাঠি পৌরসভার বয়স দেড়শ' বছর। ১৯৯৯ সালে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হলেও, সেবা ও অন্যান্য অবকাঠামোর উন্নয়নে এগোতে পারেনি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে।

পৌরসভায় শিশু ও বয়স্কদের জন্য নেই কোনো বিনোদন কেন্দ্র। বর্ধিত পৌর এলাকায় সেবার মান এখনো ইউনিয়ন পর্যায়ের। এখানকার ১৬টি সড়কেরই বেহাল দশা, যার মধ্যে রুপনগর ও কাঁঠালতলা সড়কের দশা খুবই শোচনীয়।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই ড্রেনের পানি উপচে ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এছাড়া এ পৌরসভায় নেই কোনো গণশৌচাগার, নেই সুপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরিচ্ছন্নকর্মীরা সুগন্ধা নদীতে ময়লা ফেলায় দূষিত হচ্ছে নদীর পানি, ছড়াচ্ছে রোগজীবাণু।

তার ওপর রয়েছে সড়কে অবৈধ ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রাচীন এ পৌরসভায় এখনো তৈরি হয়নি আধুনিক নাগরিক সুবিধা। পৌরবাসীর অভিযোগ নিয়মিত কর পরিশোধ করেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা।

উন্নয়নে পিছিয়ে থাকার কথা স্বীকার করে বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদনের কথা জানালেন পৌর প্রশাসক।

ঝালকাঠি পৌরসভা প্রশাসক মোহাম্মদ কাওছার হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের তিনটি প্রকল্পে ১৩ টি রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া ৪ টি চার কিলোমিটার ড্রেনের কাজও চলমান রয়েছে। একটি সাইক্লোন সেন্টার করা হচ্ছে। এর বাহিরে ১১ টি রাস্তার প্রকল্প রয়েছে। যেগুলো অনুমোদন হবার পরে এখন টেন্ডারের অপেক্ষায় রয়েছে। এগুলো শেষ করতে পারলে আশা করছি ঝালকাঠি পৌরবাসীর আর কোনো অভিযোগ থাকবে না।’

১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পৌরসভাটির ৯টি ওয়ার্ডে বসবাস করেন প্রায় ৮৬ হাজার মানুষ।

এএম