দেশে এখন
0

প্রবাসী রেমিট্যান্সে এগিয়ে যাচ্ছে চাঁদপু্রের অর্থনীতি

চাঁদপুরের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্সের উপর ভিত্তি করে শহরের উঁচু উঁচু ভবন নির্মাণের পাশাপাশি জেলার গ্রামগুলোতেও লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। তবে অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশে বেশি করে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো গেলে বাড়বে রেমিট্যান্সের পরিমাণ।

প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা চাঁদপুর। প্রায় ত্রিশ লাখ জনসংখ্যার এই জেলায় প্রতি ৬ জনের একজন প্রবাসী। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে চাঁদপুরের অর্থনীতির চাকা।

চাঁদপুরের ৮ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রবাসীর বাড়ি ফরিদগঞ্জে। এখানকার প্রায় প্রতিটি বাড়ির অন্তত একজন প্রবাসী। যাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া । শহরের পাশাপাশি গ্রামেও গড়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন ভবন। বিনিয়োগ হচ্ছে খামার, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে। তাই প্রবাসীদের সুবিধা বাড়াতে সরকারকে নজর দেয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রবাসী ও তাদের স্বজনরা।

চাঁদপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের দেয়া তথ্যমতে, বিশ্বের প্রায় ৫৭টি দেশে এখানকার প্রায় ৫ লাখ প্রবাসী বসবাস করেন। বছরে তাদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমান প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।

দক্ষ জনশক্তি বিদেশে পাঠানো হলে আরো অনেক বেশি রেমিট্যান্স আয় করা সম্ভব বলে জানান অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।

চাঁদপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স অর্থনীতি ব্যাপক অবদান রাখছে। দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স ভূমিকা রাখছে।’

চাঁদপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফজলুর রব বলেন, ‘প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের প্রভাব সবচেয়ে বেশি গ্রামাঞ্চলে। কারণ গ্রামের অধিকাংশ মানুষ এখন বিদেশমুখী। আর তাদের প্রবাসের আয়ের সুবিধাটা সারা দেশের মানুষই পাচ্ছে।’

মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাঁদপুরের প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রবাসী জীবন কাটাচ্ছেন।

এএম