দেশে এখন
0

দুদককে শক্তিশালী করতে সংস্কার কমিশনের ৪৭ সুপারিশ

দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শক্তিশালী করতে ৪৭টি সুপারিশ দিয়েছে দুদক সংস্কার কমিশন। এইসব সুপারিশে রাজনীতি ও আমলা নির্ভরতা কমানোর ওপর জোর দেয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত স্বার্থে সাংবিধানিক ও আইনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ লেনদেনকে অবৈধ ঘোষণা এবং কালো টাকা সাদা করার বৈধতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সুপারিশ দেয়া হয়েছে।

দেশের সবখাতেই দুর্নীতি আর অনিয়মের ছড়াছড়ি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। আর্থিক দুর্নীতি তদন্তে অনুসন্ধান করে দুদক। কিন্তু গঠনের পর থেকেই স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে পারেনি দুদক।

এমন প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তবর্তী সরকার।

কমিশনের সুপারিশে দুদককে বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কমিশনকে তিন সদস্য থেকে বাড়িয়ে পাঁচ সদস্যে উন্নীত করাসহ পাঁচ ক্যাটাগরিতে ৪৭টি সুপারিশ করা হয়েছে।

কালোটাকা সাদা করার সুযোগ না রাখা, রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও শুদ্ধাচার চর্চা নিশ্চিত করা, দুদকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চিহ্নিত করে বিভাগীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে ফৌজদারি বিচারে সোপর্দ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ রাখা হয়েছে প্রতিবেদনে।

দুর্নীতি দমনে সব সেবামূলক খাত স্বয়ংক্রিয় বা অটোমেশনের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে কমিশন।

দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'প্রতিটি খাতে আমাদের এন্ড টু এন্ড অটোমেশন করার প্রস্তাব আমরা সুপারিশ করেছি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবক সেবামূলক খাতগুলোকে সেবা প্রদান প্রক্রিয়া এবং তথ্য দেয়া-নেয়া প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে অটোমেশন করতে হবে।'

একটি কার্যকর দুদক গড়ে তুলতে রাজনীতি ও আমলাতন্ত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার তাগিদ দিয়েছে কমিশন।

এসএস