বগুড়ায় বিমানবন্দর স্থাপনে উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯৮৭ সালে। নানান জটিলতায় সেই উদ্যোগে ভাটা পড়লে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের শেষ দিকে বগুড়ায় বিমানবন্দর স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। ২২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। ১৯৯৫ সালে সদর উপজেলার এরুলিয়া এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ১১০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কাজ শেষ হয় ২০০০ সালে। এরপর প্রায় দুই যুগ ধরে পাইলট প্রশিক্ষণ স্কুল হিসেবে বিমান বাহিনী এ বিমানবন্দরটি ব্যবহার করছে।
তবে এবার সামরিক ও বেসামরিক উভয় বিমান উড়বে এ বিমান বন্দর থেকে। বিমান বাহিনী প্রধানের এমন আশ্বাসে খুশি বগুড়াবাসি।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করে এখানে সব গড়ে উঠেছিল। কিন্তু গত ১৭ বছর ধরে এখানে কোনো বিমান উঠা নামা করেনি।’
আরেকজন বলেন, ‘বগুড়া মানুষ চাচ্ছে দ্রুত যেন এই বিমানবন্দর চালু হয়।’
কৃষি,শিল্প ও পর্যটন উন্নয়নে এ বিমান বন্দরের দাবি ছিল বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের কোটি মানুষের। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠানে অত্যাবশ্যকীয় ছিল আকাশ পথের স্বল্প সময়ের যাত্রা। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ও দেশের সুষম উন্নয়নে বিমান বন্দরের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরলেন বগুড়ার ব্যবসায়ী নেতা ও বেসরকারি উন্নয়ন কর্মকর্তারা।
বগুড়া টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ দরকার। এখানে সরকারের এইটা করা উচিত। এতে দেশের সমান উন্নয়নের অনেকটা কভার করবে।’
বগুড়া চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইরুল ইসলাম বলেন, ‘বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের কোটি মানুষের প্রাণের দাবি। এখানে যে ছোট বড় কারখানা রয়েছে তাতে রপ্তানি আরো বেড়ে যাবে। এখানে বায়াররা সহজে আসতে পারবে।’
বগুড়ায় এয়ার ফিল্ডে রানওয়ে রয়েছে ৪ হাজার ৬০০ ফুট। অভ্যন্তরীণ ছোট আকারে বিমান চলাচলের জন্য প্রয়োজন ৬ হাজার ফুট এবং আন্তর্জাতিক বড় বিমান চলাচলে রানওয়ে দরকার ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার ফুট।