বগুড়ার শিবগঞ্জের আলীয়ার হাট ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। রোগীকে ওষুধ দিচ্ছেন এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী। শুধু তাই না, অফিস অন্যদের কাজও করেন তিনি একাই। এমন চিত্র মফস্বলের স্বাস্থ্যসেবার।
এসব কিছু নিয়ে কথা হয় পরিচ্ছন্নতা কর্মী বেলাল হোসেনের সাথে। জানান, হাসপাতালে যারা কাজ করেন তারা কেউই নিয়মিত আসেন না। এছাড়া নৈশ প্রহরী থেকে অফিস প্রধান সব দায়িত্বই পালন করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘নাইট গার্ডের কাজ করছি, ঝাড়ুদারের কাজ করছি, ফার্মেসির কাজ করছি তারপর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজও আমি একাই করছি।’
একই চিত্র দেখা যায় ২০ শয্যা বিশিষ্ট নন্দিগ্রাম হাসপাতালে। গেটে ঝুলছে তালা, তার পাশেই রয়েছে ২৪ ঘণ্টা নরমাল ডেলিভারি সেবা দেয়ার সাইনবোর্ড।
এছাড়া সান্তাহার হাসপাতালের প্রধান ফটকেই ঝুলছে তালা। প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই তিনটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না বলছেন স্থানীয়রা।
জনবল আর চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটে হাসপাতালে সম্পূর্ণ সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না জানান জেলার সিভিল সার্জন।
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শফিউল আজম বলেন, ‘বহিঃর্বিভাগ সেবাটা আমরা চালু রেখেছি। কিন্তু আমরা এখনো সেটা পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে পারছি না। এখানে জনবল ও যন্ত্রপাতির সংকট আছে। আপনারা জানেন বিষয়গুলো আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
২০০৬ সালে বগুড়ার তিন উপজেলায় এই তিনটি হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়। দ্রুত এসব হাসপাতাল চালুর দাবি স্থানীয়দের।