যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে রাজপথে নেমে নিরাপত্তা বাহিনীর তোপের মুখে ইসরাইলিরা।
১৭ বছর, সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী থাকা বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে শনিবার ক্ষোভে উত্তাল হলো তেলআবিব। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধ ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
মধ্যপ্রাচ্য সংকট সামলাতে ব্যর্থতার দায়ে এদিন তেলআবিবে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেয় প্রায় দুই হাজার ইসরাইলি নাগরিক। দাবি জানায় নেতানিয়াহুর হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর।
বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ‘এদের বিদায় নিতে হবেই। খুব সহজ হিসাব এটা। যখন সরকার বুঝতে পারবে যে তাদের চেয়ে যে জনগণের তারা সেবক, সেই জনগণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সম্ভবত তখনই তারা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনবে।’
আরেকজন বলেন, ‘আশা করছি যে জনগণের চাপে বর্তমান অপরাজনীতির চর্চা বন্ধ করবে সরকার এবং আমাদের উন্নত ভবিষ্যতের পথে চলবে, হতে পারে সেটা বর্তমান সরকার এবং কিংবা নতুন সরকার।’
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে হামাসকে নির্মূলে ইসরাইলের অভিযানে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে সরকারি হিসাবেই ৪৬ হাজারের বেশি। প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা অন্তত ৪০ শতাংশ বেশি বলে বেরিয়ে এসেছে সাম্প্রতিক গবেষণায়। সংঘাত দীর্ঘায়িত হওয়ায় ক্ষতির মাশুল গুণতে হচ্ছে ইসরাইলের সাধারণ মানুষেরও।
বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি কারণ ইসরাইলে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি শঙ্কিত।’
আরেকজন বলেন, ‘আমি চাই যুদ্ধ বন্ধ হোক। এদেশে বড় পরিবর্তন চাই আমি। আমি চাই, ইসরাইলের মানুষ ইসরাইলে ফেরত আসুক।’
গাজায় অস্ত্র বিরতি কার্যকরের চাপের মধ্যেই, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেয়ার আগেই তার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ দেখা করেছেন নেতানিয়াহুর সাথে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, আলোচনার বিষয় ছিল অস্ত্র বিরতি।