একমাস আগেও চট্টগ্রাম নগরীর চাক্তাই ও পাহাড়তলী পাইকারি বাজারে ভালো মানের প্রতিবস্তা জিরাশাইল সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছিল তিন হাজার ৬০০ টাকায়। বর্তমানে যা তিন হাজার ৯০০ টাকা। একই অবস্থা, নাজিরশাইল, মিনিকেট, কাটারির ক্ষেত্রেও। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মোটা চালের দর।
কয়েকদিন আগেই মাঠ থেকে উঠেছে আমন ধান। মিল মালিক পর্যায়েও আছে পর্যাপ্ত মজুত। এরপরও কেন ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম? তা যাচাইয়ে মঙ্গলবার চাক্তাই চালের বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার ও খাদ্য অধিদপ্তর।
এসময় চালের দাম বৃদ্ধির জন্য আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়া, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ধান ও চাল মজুত, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স না মানাকে দায়ী করেন আড়তদার ও মিল মালিকরা।
চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিক উল্লাহ বলেন, 'ফেনী, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, শেরপুরে বন্যা হওয়ায় আমাদের অনেক ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এবং এ নষ্ট হওয়ার কারণেই মূলত চালের দাম গত সপ্তাহে বৃদ্ধি পেয়েছিল।'
অভিযানে চালের বস্তার গায়ে প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডের নকল নাম ব্যবহার, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকাসহ নোংরা পরিবেশে চাল প্যাকেটজাত ও বিপণনের দায়ে দু'টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার।
চট্টগ্রাম ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্ল্যাহ বলেন, 'তাদের আসলে নিজের কোনো ব্র্যান্ড নেই। বাজার থেকে বস্তা কিনে আসলে এখানে রিপ্যাক করে। তার কারখানাটা আমরা পরিচ্ছন্নও পেয়েছি। শতশত তেলাপোকা মরে পচে ছিল।'
চট্টগ্রামের চালের পাইকারি বাজারে বিভিন্ন প্রসিদ্ধ ব্রান্ডের খালি প্যাকেটে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত চাল প্যাকেটিং করে বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের।