শিল্প-কারখানা
অর্থনীতি
0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিসিকে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে কারখানায় উৎপাদন কমেছে

গ্যাসের চাপ কমে যাওয়া ও লোডশেডিংয়ের ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ২০ শতাংশ পণ্য উৎপাদন কমেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিসিক শিল্পনগরীর কারখানাগুলোতে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত চাহিদা ও সহজ যোগাযোগের পরেও জায়গা স্বল্পতায় সম্প্রসারণ করা যাচ্ছে না শিল্পনগরী। এছাড়া বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও আনা যাচ্ছে না এখানে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিসিক শিল্পনগরীর এই কারখানায় দিনে উৎপাদন সক্ষমতা অন্তত ১২ টন। তবে গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ সংকট ভোগাচ্ছে বেশ। উৎপাদন নেমেছে ৮ থেকে ১০ টনে। এছাড়া নির্মাণ কাজ কমে যাওয়ায় বিক্রিতে মন্দা।

তবে, চাহিদা রয়েছে শিল্পনগরীতে থাকা অ্যালুমিনিয়াম, সাবান, সিলিকেট, আটা, বেকারিসহ বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের। মূলত সড়ক, রেল ও নৌপথে খুব সহজেই এখানকার পণ্য বাজারজাত করা যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় ১শ' কোটি টাকার পণ্য বাজারজাত হচ্ছে এখান থেকে। তবে, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ থাকলে বাড়বে পণ্যের উৎপাদন।

বাজারে চাহিদা থাকার পরও বিদ্যমান কারখানাগুলো প্লট না থাকায় ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারছে না। এছাড়া বড় কোনো প্রতিষ্ঠানও আনা যাচ্ছে না এই শিল্পনগরীতে।

শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্যাস, বিদ্যুতের সংকট অনেকটা কমেছে। আর নাসিরনগর উপজেলায় ৫০ একার জায়গা নিয়ে নতুন শিল্পনগরী তৈরির বিষয়ে আলোচনা চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিসিক শিল্পনগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের বর্তমান যেসব শিল্প নগরীগুলো হচ্ছে সেগুলো বড় আকারে হচ্ছে। এখানে আগের চেয়ে প্লটগুলোও বড় হচ্ছে। আমরা নতুন বড় উদ্যোক্তাদেরকেও প্লট বরাদ্দ দিতে পারব। যদি ভবিষ্যতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আরো শিল্প নগরী করা হয়। নাসির নগরীকে শিল্প নগরীতে তৈরি করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে জায়গা পরিদর্শন করে এসেছি। যা প্রায় ৫০ একরের মতো।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নন্দনপুরে প্রায় ২২ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত বিসিক শিল্পনগরীর কারখানাগুলোতে ১৯৯৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে পণ্য উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে সচল আছে ৬৭টি কারখানা। এই শিল্পনগরীতে প্লট আছে ১৪২টি।

এএম