এসব দাবি ছাড়াও সংগঠনটির পক্ষ থেকে একগুচ্ছ দাবি তুলে ধরা হয়। যশোর পৌরসভাকে অবিলম্বে সিটি করপোরেশন করা, যশোর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা, বেনাপোল বন্দর আধুনিকায়ন ও বন্দর থেকে অর্জিত রাজস্ব বড় অংশ যশোর উন্নয়নে ব্যয় করার দাবি জানায় সংগঠনটি।
এছাড়া সবজি ও ফুল সংরক্ষণে বিশেষায়িত হিমাগার স্থাপনা, কপোতাক্ষ ও ভবদহের সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও দ্রুত বিল কপালিয়ায় জোয়ারাধার (টিআরএম) চালু করা, ভৈরব নদ সংস্কারের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা, দেশিয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসার সুবিধার্থে যশোর একটি কনটেইনার পোর্ট স্থাপন করা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্প বিকাশে দ্রুত গ্যাস সংযোগ চালু করা, খুলনা থেকে ঢাকা এবং বেনাপোল দিয়ে ঢাকা রুটে অতিরিক্ত আরো একটি করে রেল চালু ও যশোর শহরে জংশন করা।
এছাড়া যশোর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ক্যাডেট কলেজ চালু, যশোরের ঐতিহ্য রক্ষায় একটি খেজুর গবেষণা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা, যশোরে পৃথক টিভি স্টেশন ও পূর্ণাঙ্গ রেডিও স্টেশন চালু, ঝুমঝুমপুর শিল্পনগরীকে আধুনিকায়ন ও পৃথক রপ্তানি প্রক্রিয়া অঞ্চল করা, যশোরে এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট 'যশোর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল' নির্মাণ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে 'মুন্সী মেহেরুল্লাহ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়' রূপান্তর, যশোরে ফুল গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করাসহ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর করার জোর দাবি জানায় যশোর ফাউন্ডেশন।
সংগঠনের সভাপতি ডা. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে মিলনমেলায় জেলার বিশিষ্ট নাগরিকসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক যশোরবাসী উপস্থিত ছিলেন। মিলনমেলায় ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।