যুদ্ধ
বিদেশে এখন
0

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের হাজারতম দিন: যুদ্ধ বন্ধের নেই কোনো ইঙ্গিত

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ১০০০ তম দিন পেরিয়ে গেলেও পাওয়া যাচ্ছে না যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত, প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। যদিও মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর সহস্র দিন অতিবাহিত হওয়ায়, নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের বার্তা দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। যুদ্ধকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সদিচ্ছা ছাড়াও অভিনব এসব আয়োজনে চোখে পড়েছে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা। এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে নিজেরা আগ্রসন চালালেও ইউক্রেনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে ইসরাইল।

গাঢ় অন্ধকারে আশার আলোর হয়ে জ্বলছে ১ হাজার মোমবাতি। রাজধানী কিয়েভে ম্যাদারল্যান্ড মনুমেন্টের সামনে জ্বলতে থাকা সেই মোমের আলো ছড়িয়ে পড়ছে পুরো ইউক্রেনজুড়ে। ১৯ নভেম্বর এভাবেই গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছে রাশিয়ার আগ্রসনে নিহত ইউক্রেনীয় সেনা ও বেসামরিক নাগরিকদের। আর রণক্ষেত্রে লড়তে থাকা কিয়েভ সেনাদের মঙ্গল কামনায় প্রার্থণায় অংশ নেন রাজধানীবাসী।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘নিহত স্বজনদের কথা ভাবছি। কবে এ যুদ্ধের অবসান হবে জানি না। প্রার্থনা করি, আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্যরা অক্ষত থাকুক। আমরা তাদের পাশে আছি। সৃষ্টিকর্তা তাদের রক্ষা করবেন।’

আরেকজন বলেন, ‘জীবন একেবারে এলোমেলো হয়ে গেছে। আমি শুধু বিজয়ের অপেক্ষায় দিন পার করছি। যারা সীমান্ত সুরক্ষায় লড়াই করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

মস্কোর দাবি, সেনা সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক মিলিয়ে রাশিয়ার আগ্রসনে ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা ৭ লাখের কাছাকাছি। শরণার্থীর মতো দিন পার করছেন অন্তত ৬ মিলিয়ন বাসিন্দা। আর কিয়েভ বলছে, চলমান আগ্রসনে নিহত রুশ সেনার সংখ্যা ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে আর আহত প্রায় ৫০ হাজার। ইউক্রেনের বাসিন্দারা বলছেন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর এত বড় সংঘাত দেখেনি ইউরোপ। যদিও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে পুতিন সেনাদের ভয় করেন না তারা।

ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতা স্পর্শ করেছে জার্মানদেরও। নীল আর হলুদ রঙে সাজানো হয় জার্মানির কুলন শহরের সিটি সেন্টার। এদিন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান ও ইউক্রনের সহায়তায় জার্মান সরকারকে সর্বোচ্চ নমনীয় আচরণের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ‘ইউক্রেন প্রতিরোধ না করলে শত্রুরা ইউরোপে ঢুকে পড়তো। তারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যুদ্ধ করছে। রুশসেনাদের পাল্টা জবাব দিতে প্রচুর অস্ত্র প্রয়োজন।’

মধ্যপ্রাচ্যে নিজেরা আগ্রসন চালালেও ইউক্রেনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে ইসরাইল। নীল হলুদ আলো জ্বেলে সাজানো হয়েছে রাজধানী তেল আবিবের সিটি হল। প্রতীকী এই আয়োজন ছাড়া, সাধারণ মানুষের তেমন সম্পৃক্ততা চোখে পড়েনি ইসরাইলির প্রধান শহরগুলোতে।

এদিন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে বিশেষ বার্তা দেন জাতিসংঘে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪২ সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতিতে বিশেষ বার্তায় বলা হয়, কোনো ধরণের উসকানি ও উপযুক্ত কারণ ছাড়া রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের আগ্রাসন শুরু করছে তা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। এমন বাস্তবতায়, অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত।

ইএ