দেশে এখন
0

শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে আছে যুক্তরাজ্য

জাতীয় পুনর্মিলনের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে জবাবদিহিতার সঙ্গে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকার যে পথে আগাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার তার সঙ্গে আছে। সকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা জানিয়েছেন ঢাকা সফররত ব্রিটিশ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সময় ব্রিটিশ এই মন্ত্রী জানান, যুক্তরাজ্য সরকার আশা করে নির্বাচনের মাঠে সমতা আনতে, শিগগিরই ইউনূস সরকার তাদের কর্মসূচির রূপরেখা তুলে ধরবেন। পরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কোন বিশেষ দলকে রাজনীতিতে ফেরাতে নয়, নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে।

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রিটিশ কোন শীর্ষ কর্মকর্তার প্রথমবারের বৈঠক।

ব্রিটেনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্টের এই বৈঠককে আরও যে কারণে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তা হলো, ভারত থেকে চীন, জাপান হয়ে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত সমরাস্ত্র, অর্থনীতি কিংবা ব্যবসায়িক নিরাপত্তা ও নিষেধাজ্ঞার মত বিষয়গুলো যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষে কাজ করার দায়িত্ব আছে তার।

দুই দিনের সফর হলেও ক্যাথরিন ওয়েস্টের মূল আনুষ্ঠানিকতা ছিল দ্বিতীয় দিন ঘিরে। রোববার সকাল ১০টার পররাষ্ট্র দপ্তরে এই কর্মকর্তা বৈঠক করতে আসেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে। প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক শেষে, দেড় মিনিটের বক্তব্য দেন ক্যাথরিন।

বলেন অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় পুনর্মিলনের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে জবাবদিহিতার সঙ্গে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিরে আনতে যে কর্মসূচি নিয়ে এগুচ্ছে তাকে স্বাগত জানায় যুক্তরাজ্য সরকার। বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় ঐতিহ্যবাহী সম্পর্কের সূত্র ধরে জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থ-বাণিজ্য ও অভিবাসন ইস্যু এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ঘোষণা দেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য অর্থ সহায়তার।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, জাতীয় পুনর্মিলনের আকাঙ্ক্ষা পূরণে জবাবদিহিতার সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের এ বিষয়ে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’

এরপর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কাছ থেকে দুইটি প্রশ্ন নেন। একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সামনের নির্বাচনে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা উচিত নয় কি, আওয়ামী লীগের জন্যও।

ব্রিটিশ সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই। এবং আমরা আশা করি, অধ্যাপক ইউনূস একটি রূপকল্প উন্মোচন করবেন এবং যুক্তরাজ্য সরকার পরবর্তী ধাপে পৌঁছাতে জনগণেরও সহায়তা চায়।’

পরে দুপুরের পর এ বৈঠকের বিস্তারিত জানাতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তার কাছে, প্রশ্ন ছিল, আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠে ফেরাতে কোনো আলোচনা হয়েছে কি?

তিনি বলেন, ‘না এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। আমি তাদের পরিষ্কারভাবে বলেছি এখানে আমাদের কারো কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই। আসলেই একটি সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে দিয়ে আমরা সরে যেতে চাই। এটাই আমাদের লক্ষ্য। এখন এর জন্য কতটুকু সময় লাগে আমরা স্পষ্টভাবে জানি না।’

অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসন যদি ঠেকাতে না পারি তাহলে লিগ্যাল পারমিশনের সুযোগটা আমরা পাব না।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, আরও বলেন, যুক্তরাজ্য যেতে বেগম জিয়ার ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেখানে যাওয়া না যাওয়া তার ব্যাপার।

এএইচ