শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘মওলানা ভাসানী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে শ্রদ্ধার এবং সম্মানের। তাকে চিনেছিলেন বলেই শহীদ জিয়াউর রহমান তার আদর্শ গ্রহণ করেছেন। আমাদের নেতা শহীদ জিয়াউর রহমান কৃষকদের কাছে গিয়ে তাদের কথা শুনতেন। যেমন শুনতে মওলানা ভাসানী।’
আগামী দিন হচ্ছে বিএনপির দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা এ দেশটাকে ১৬ বছর ধরে লুটেপুটে খেয়েছেন আর মানুষের ওপর জুলুম করেছেন তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দিন এসেছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখন কেউ কেউ বলছেন হঠাৎ করে তিনি ঢুকে পড়বেন। আমরাও তো চাই আসেন, ঢুকে পড়েন। বিএনপির নেতাকর্মীরা জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ভাইকে আপনি জেলে রেখেছেন তার কৈফিয়ত আপনাকে দিতে হবে।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আমাদের অনেক নেতা কর্মী এখনো জেলখানায় রয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করি। তাই আমরা অনুরোধ করবো যারা গণতন্ত্রের জন্য মামলার মুখোমুখি হয়েছে তাদের মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেবেন। আমরা চাই সংস্কার করেন, আমরা সমর্থন দিয়েছি। কিন্তু এমন সময় নিবেন না, যাতে মানুষ অস্বস্তি হয়। ধৈর্য থাকতে থাকতেই কাজটা শেষ করার উদ্যোগ নেবেন এটা আমাদের প্রত্যাশা।’
এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতানা সালাউদ্দিন টুটু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, জেলা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীমসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।