আর্থিক অনিয়মের কারণে বাফুফের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মোর্শেদী ফিফার জরিমানার কবলে পড়েছিলেন। সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার অন্যতম কারণও ছিল আর্থিক অনিয়ম। একই কারণে বাফুফের কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ও জরিমানা গুণতে হয়।
অর্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ফিন্যান্স কমিটির আওতাধীন হলেও স্বাভাবিকভাবেই তখন আলোচনায় আসে অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি। কারণ ফেডারেশন কোনো অর্থ খরচ করলে সেটা সঠিক পন্থায় হয়েছে কি না তা দেখভাল করার দায়িত্ব অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটিরও। বাফুফের নতুন পরিচালনা পর্ষদ এবার সেই কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত করেছে ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপিকে। যিনি বাফুফের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি বলেন, 'বাফুফের এর আগে অনেক অব্যবস্থাপনা ছিল, অনেক সমালোচনা ছিল, অনেক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। আমি আশা করি আমি আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবো। এবং ভবিষ্যতে আপনারা এরকম কোনো কথা শুনবেন না। আমি এতটুকু আশ্বস্ত দেশবাসীকে করতে পারি।'
বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সভাপতি তাবিথ আউয়াল নিজেই। শীর্ষ কর্তার কমিটি কোনো অনিয়ম করলে তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা কঠিন হবে কি না? এমন প্রশ্নে সোজাসাপ্টা উত্তর দিলেন বাফুফে কর্তা।
ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি বলেন, 'উনি উনার স্বতন্ত্র দায়িত্ব পালন করবে, আমি আমার অডিট কমিটির স্বতন্ত্র দায়িত্ব পালন করবো। সেক্ষেত্রে আমাকেও যদি উনি জবাবদিহিতার আওতায় নিতে চায় নিতে পারবে। আমিও যদি ফিন্যান্স কমিটির সাথে কোনো আলোচনা করতে চাই, জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই সেটা করতে পারি। আমার সে এখতিয়ার আছে।'
এক বছরের জন্য আর্থিক বিষয়াদি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কমিটির দায়িত্ব ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপিকে দেয়া হয়েছে। ৯ নভেম্বর নির্বাহী সভায় বাফুফের এই কর্তাকে অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটির প্রধান মনোনীত করা হয়।